ঢাকা মেট্রোপিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
থানা পুলিশ সূত্রের তথ্যানুযায়ী, উত্তরা ৭নং সেক্টরের ২৩ নম্বর রোডের ৭নং বাড়িতে পুলিশের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটসহ অস্ত্র গুলি রয়েছে বলে গোপণ তথ্য রয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল (রোববার) ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও উত্তরা পশ্চিম থানার একটি যৌথ টিম উক্ত বাসায় স্থানীয় সাক্ষীসহ প্রবেশ করে। সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তাদের হেফাজত থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৬৫টি ১০০ ডলারের নোট, ৪টি ২০ ডলারের নোট, ০১ টি ৫ ডলারের নোট, ১টি ১ ইউএস ডলারের নোট, ৪১টি ১০০০ থাইবাথ নোট, ১১টি ১০০ থাইবাথ নোট, ২ টি ৫০০ থাইবাথ নোট, ২৮ টি ২০ থাইবাথ নোট, ৩ টি ৫০ থাইবাথ নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ২০টি ৫০০ দিরহামের নোট, ১টি ১০০ দিরহামের নোট, ১টি ২০ দিরহামের নোট, ৩টি ১০ দিরহামের নোট, ২টি ৫ দিরহামের নোট, ৫টি ১০০ কানাডিয়ান ডলারের নোট, ২টি ১০ সিঙ্গাপুর ডলারের নোট, ১টি ২ সিঙ্গাপুর ডলারের নোট, ১টি ১০০ রিয়াল, ২টি ৫০ রিয়াল, ২টি ১০ রিয়ালের নোট, ৩টি ৫ রিয়ালের নোট, ১টি ১ রিয়ালের নোট, ১টি ২ হাজার রুপির নোট, ৬০টি ৫০০ রুপির নোট, ১টি ২০০ রুপির নোট, ৫টি ১০০ রুপির নোট, ৫টি ৫০ রুপির নোট, ৪টি ২০রুপির নোট, ৬টি ১০ রুপির নোট, ৩টি নেভি ব্লু রঙের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও ২টি প্রাইভেটকার (ল্যান্ড ক্রুজার জেডএক্স হার্ড জিপ টয়োটা এম করপ ২০২১ ও হ্যারিয়ার হার্ড জিপ টয়োটা এম করপ ২০১৪) জব্দ করা হয়।
বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটগুলো ঢাকা-১৮ এর পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার ছেলে আবির হাসান তামিমসহ গ্রেফতারকৃতরা গত ৫ আগস্টের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যবহার করতো বলে জানা গেছে।
যে বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয় সেটি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের ছেলে আবির হাসান তামিমের শ্বশুর বাড়ি বলে জানা গেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায় জব্দকৃত টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও গাড়ি ২টি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের।