বসন্তে আবু সাঈদের স্মৃতি, বেরোবিতে ভিন্ন আবহ

বসন্তে আবু সাঈদের স্মৃতি, বেরোবিতে ভিন্ন আবহ | এখন
0

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাঈদ নেই। কিন্তু রয়ে গেছে তার স্মৃতি। বিপ্লব পরবর্তী প্রথম বসন্তে আবু সাঈদ শুধু তার সহপাঠীদের অন্তরেই নয়, আছে প্রতিটি ফুলে, পাখির কোলাহলে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এবারের বসন্ত যেন একটু ভিন্নভাবে এসেছে তাদের ক্যাম্পাসে।

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলছে বসন্তকাল। পুরো বসন্ত যেন নিজের সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাতাসের সাথে গাছের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শুকনো পাতা। আর পাতাগুলো ঝরে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে।

৭৫ একরের ক্যাম্পাসকে সবুজ করেছে প্রায় ৩৫ হাজার গাছ। যাদের এবারই প্রথম বসন্ত কাটছে ক্যাম্পাসে তাদের আবেগ সবকিছু ছাড়িয়ে। আর বিপ্লব পরবর্তী বসন্ত পুরোনোদের জীবনে এনেছে নতুন উদ্যম। আর হবেই বা না কেন? এই ক্যাম্পাস থেকেই যে আত্মত্যাগের সূত্রপাত।

শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘এত বড় আন্দোলন হয়ে গেল। তারপরে এখন নতুন পরিবেশ। নতুন স্বাধীনতা আমরা উপভোগ করছি।’

বেরোবির শহীদ আবু সাঈদ গেট বা এক নম্বর গেট দিয়ে ঢুকলেই এক সারিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ফুলে মন মাতাচ্ছে শিক্ষার্থীসহ ঘুরতে আসা সবারই। মেইন গেট, প্রশাসন ভবনের দুই ধারে এসব ফুল দেখলে যে কেউ আন্দোলিত হচ্ছেন বসন্তের ছোঁয়ায়।

শিক্ষার্থীদের আরেকজন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের চারিদিকে ফুল ফুটছে। চারিদিকে এখন পরিষ্কার। এখন মোটামুটি ভালোই লাগছে।’

হাজারো শিক্ষার্থীর মাঝে দেখা হয়ে যায় আবু সাঈদের সহপাঠীদের সঙ্গে। তারা জানান, ক্যাম্পাসে সবাই আছে কিন্তু কে যেন নেই। তবে এবারের বসন্ত যেন একটু বেশি রঙিন তাদের কাছে।

আবু সাঈদের সহপাঠীদের একজন বলেন, ‘আবু সাঈদকে অনেক বেশি মিস করছি। ও আমার ব্যাচমেট। ওর সাথে অনেক স্মৃতি রয়েছে। আবু সাঈদ এবার ক্যাম্পাসে ফুল,পাখি হয়ে ধরা দিয়েছে এমন মনে হচ্ছে।’

আরেকজন বলেন, ‘আবু সাঈদ এর মধ্যে অবশ্যই জাগ্রত আছে। প্রতিদিন ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ও শিক্ষার্থীরা আসছে তাকে দেখতে। স্মৃতি হিসেবে আবু সাঈদ গেটের সঙ্গে ফটো তুলছে।

বিভিন্ন গাছের ছায়ায় বেড়ে ওঠা নীলমণি লতা, ঝুমকো লতা, লাল কাঞ্চন, শ্বেত কাঞ্চন, কাঠগোলাপ, চেরি, জবা, রজনিগন্ধা, মাধবীলতারা হয়ে উঠেছে কালে কালে কবিদের উপমার বাস্তব উদাহরণ।

ইএ