আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর) বেলা ২টায় শহরের বনরূপায় সংগঠনটির নেতা নুরুল আলম এ ঘোষণা দেন।
হরতালের সমর্থনে ভোরে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। শহরের বনরূপা, দোয়েল চত্বর, তবলছড়ি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কলেজ গেইট ও মানিকছড়িতে অবস্থান নেয় তারা। এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় বাকবিতণ্ডা হয়।
হরতালে বেলা ২টা পর্যন্ত খোলেনি দোকানপাট ও মার্কেট। সড়ক ও নৌযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রী ও পর্যটকরা। এমন পরিস্থিতিতে আজ বেলা ১টায় জরুরি বৈঠক ডেকে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পূর্বে কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর সবশেষ ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল এবং সংশ্লিষ্ট সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত তারিখকে কেন্দ্র করে ডাকা হরতাল এবং সম্ভাব্য পরিবহন ও নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি বিবেচনায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিষদ পরীক্ষাটি পুনরায় স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
বেলা ২টায় আন্দোলনকারীরা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। এরপরই স্বস্তি ফিরতে শুরু করে শহরজুড়ে। স্বাভাবিক হয়ে আসে যানবাহন চলাচল। খোলা শুরু হয় দোকান পাট ও মার্কেট।
এদিকে হরতাল সমর্থনে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি, রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতি, স্পীডবোট মালিক সমিতি, সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি, বাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি স্বতঃস্ফূর্ত ও সর্বাত্মকভাবে এ হরতাল কর্মসূচিকে সম্মতি জানিয়েছেন। ফলে রাঙামাটিবাসী স্মরণকালের একটি শান্তিপূর্ণ সফল হরতাল কর্মসূচির সাক্ষী হলেন।
জেলা পরিষদের সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকের এ নিয়োগে এবার ৫৮৯টি শূন্য পদে আবেদন করেন ৬ হাজার ৬৪৮ জন প্রার্থী। এর আগে এই নিয়োগ কার্যক্রমে নির্ধারিত লিখিত পরীক্ষা ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সালের ২০ মে এবং সবশেষ গেল ১১ নভেম্বর এই নিয়োগ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।





