রাতে কালামের মরদেহ সিদিধেরগঞ্জে তার ভাড়া বাড়িতে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়েন কালামের আত্মীয়-স্বজনরা। এসময় তাকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন ও আশেপাশের মানুষ। প্রিয় মানুষটির এমন আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী।
তারা বলছেন, মাত্র পাঁচ বছর আগে দাম্পত্য জীবন শুরু করা আজাদ (৩৫) ও প্রিয়ার (২৫) সংসার। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায় মনোয়ার ভিলায় থাকতেন তারা। নিজ শ্বশুরবাড়ির মাত্র একশত গজ দূরে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। তাদের ঘর আলো করে আসা আব্দুল্লাহ (৪) ও ফারিয়া (২) নামের দুই সন্তান।
সেখানে তার জানাজায় স্থানীয় রাজনীতিবিদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের স্ত্রীর বড় ভাই সোহান জানান, কালামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন আইল পাড়া (পাঠানটুলি)। রাত ১০টায় জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায়। সেখানে আজ বেলা ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে কালামের দাফন সম্পন্ন হবে।
এসময় কালামের পরিবারের জন্য সরকার ঘোষিত সব প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নেরও দাবি জানান তিনি।
নাসিক ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ডিএইচ বাবুল জানায়, নিহত কামাল ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে একজন সদালাপী ও বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলেন তিনি। যেকোনো প্রয়োজনে কালামের পরিবারের পাশে থাকার কথাও জানান তিনি।





