অবরোধ চলাকালে বিক্ষুব্ধরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ও বাঁশ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে সড়কের উভয় পাশে প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, শনিবার সকালে মাদ্রাসার ১০ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে একটি কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করেন শিক্ষক মো. হোসাইন। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানালে স্থানীয়রা সন্ধ্যার দিকে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে শিক্ষক হোসাইনকে আটক করে। পরে তারা মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট সাইফুল ইসলাম সিরাজীর কাছে সঠিক বিচার দাবি করেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলে জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষক হোসাইনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় মাদ্রাসা সুপারিনটেনডেন্ট সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত দুই মাসে একই শিক্ষক আরও দুই শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করেছেন। কিন্তু অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
পরে খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল আলম ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। তারা সঠিক বিচার ও মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে যান। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।





