নিহতরা হলেন-নানা বিল্লাল হোসেন (৬৫) ও নানী আলনা বেগম (৫০)। তারা কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার দড়ি লুটেরচর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহতরা হলো তাদের ছেলের বউ অঞ্জনা (২৩), নাতনি আনিশা (৪) ও অটোরিকশা চালক অজ্ঞাত (৪০)।
খবর নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের মেয়ে রত্না আক্তারের বিয়ে হয় গজারিয়া উপজেলার আনারপুরা গ্রামে। সম্প্রতি রত্নার মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে তাকে পরিবার নিয়ে দেখতে যাচ্ছিলেন বিল্লাল হোসেন।
পথিমধ্যে আনারপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় মতলব থেকে ঢাকাগামী মতলব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সেটিকে ধাক্কা দিলে তা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় অটোরিকশা চালক চালক (৪০), বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী আলনা বেগমসহ ৫জন গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন:
স্থানীরা তাদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিলাল হোসেন, তার স্ত্রী আলনা বেগম এবং ছেলের বউ অঞ্জনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসক।
এদিকে ঢাকা নেওয়ার পথে আলনা বেগম ও বিল্লাল হোসেন মারা যায়। স্থানীয়রা ঘাতক বাস চালক কাউসার হোসেনকে (২৫) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চারজন রোগীকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে শিশু আনিশা ছাড়া বাকি তিনজনের আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে'।
নিহত আলনার চাচা নজরুল ইসলাম তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পথে নানা ও নানী মারা গেছে। বাকিদের অবস্থাও ভালো নয়। অসুস্থ নাতনিকে দেখতে গিয়ে নিজেরাই প্রাণ হারালো।’
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দুর্ঘটনাকবলিত বাস এবং অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘাতক বাসটির চালক কাউসার হোসেনকে আটক করে স্থানীয়রা আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
