সবুজের সতেজতা, পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিনন্দন সড়ক আর পদ্মা পাড়ের নগরী হিসেবে খ্যাত রাজশাহী । তুলনামূলক কম ধুলাবালি থাকায় নির্মল বাতাসের শহরও বলা হতো রাজশাহীকে। তবে সে অবস্থায় পড়েছে ভাটা।
সড়কে পড়ে থাকছে বর্জ্য, নেই সুপেয়ও পানি ও পর্যাপ্ত সড়ক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। সড়ক ও ড্রেন মেরামত না হতেই উধাও হয়েছে স্ল্যাব ।
এবার অতি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে নগরীর পথঘাট। সড়কে খানাখন্দ থাকায় যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। রাস্তায় ফেলে রাখা নির্মাণ সামগ্রী ভোগান্তি বাড়াচ্ছে নগরবাসীর। এতে নাগরিক সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
এমনকি স্বাস্থ্যসেবা, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নগরবাসী।
নগরবাসী জানান, নাগরিক সুবিধাগুলো ঠিকঠাক পাচ্ছেন না নাগরিকরা। সেবা পেতে বেশ সময় লেগে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। নগরীর ময়লা-আবর্জনা অপসারণে সময়মতো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।
নগর ভবনের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধি না থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে। এ অবস্থায় রাসিকের সেবামূলক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা প্রত্যাশা করেন নাগরিক সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন:
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান বলেন, ‘এই নগরের মানুষ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেকোনো মানুষ ট্রেড লাইসেন্সের জন্য গেলে হয়রানি হতে হয়, আবার ট্যাক্স দিতে গেলে সেখানেও লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়।’
রাজশাহী মহানগর সুজনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান বাবু বলেন, ‘জনসেবামূলক যেসব কার্যক্রম হচ্ছিল, সেগুলো আর তেমন নেই। কেমন যেন সবার মধ্যে একরকম অনীহা, কাজ করতে কেউ চায় না।’
পরিবেশকর্মী রাশেদ রিপন বলেন, ‘সরকারি আমলারা দায়িত্বে আছেন। এখন নানা রকম সংকট দেখা দিচ্ছে। নাগরিক সেবাগুলোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে।’
নগরবাসীর অভিযোগকে আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘যেহেতু এখন জনপ্রতিনিধি নেই, যারা এখন জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন, তারা কিন্তু সবাই সরকারি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্বে আছেন। তারা একেকজন কয়েকটা করে ওয়ার্ড নিয়ে আছেন। আমরা এটা দ্রুততম সময়ে রিকভারি করার চেষ্টা করছি।’
নগরবাসীকে ২৬টি জরুরি সেবা দিচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। তবে ভঙ্গুর এ অবস্থায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।





