আজ (সোমবার, ৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এর আগে, গত শনিবার মধ্যরাতে মানিকগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম স্বর্ণকার পট্টি এলাকায় অবস্থিত ‘অভি অলঙ্কার’নামে একটি দোকানে লুটের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি দোকানে ঢুকে মালিক শুভ দাসকে ছুরিকাঘাত করে এবং দোকান থেকে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এতে স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দা পৌলী, বাসস্ট্যান্ডের একটি হোটেল ও শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন— দোকান মালিক শুভ দাস (৩৫), আমানত হোসেন রানা (২৭), সোহান মিয়া (২১), শরীফ খান (২২) ও সবুজ মিয়া (২৭)। প্রথমদিকে ঘটনাটি সরাসরি ডাকাতির বলে মনে হলেও জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে ভিন্ন তথ্য।
পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন বলেন, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, দোকান মালিক শুভ দাসই ৫ লাখ টাকা চুক্তিতে তাদের ভাড়া করেছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা দোকানে প্রবেশ করে শুভ দাসকে সামান্য ছুরিকাঘাত করে স্বর্ণালঙ্কার লুটের ভান তৈরি করে।
তিনি আরও জানান, লুট হওয়া ৩৯ ভরি ৭ আনা স্বর্ণ আসলে দোকান মালিক শুভ দাস নিজেই গোপনে সংরক্ষণ করেছিলেন। ছুরিকাঘাতের ঘটনাটিও ছিল পূর্ব পরিকল্পিত, যাতে পুরো ঘটনাকে বিশ্বাসযোগ্য করা যায়। এ ঘটনায় মূল হোতা দোকান মালিক শুভ দাসসহ পাঁচজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
ঘটনার পর থেকেই মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এ ধরনের ঘটনা শুধু ব্যবসায়ীদের সুনাম নষ্ট করে না, বরং পুরো বাজারকে অবিশ্বাসের মধ্যে ফেলে দেয়। একজন ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নিজের দোকানে নাটক সাজিয়ে এভাবে প্রতারণা এটা অকল্পনীয়।





