এ সময় জেলেরা জানায়, নদী ও সাগরে মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারত ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়। যার কারণে, বাংলাদেশে যখন মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলে তখন ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যায়। অন্যদিকে বাংলাদেশে যে সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় এসময় ইলিশের পেটে কোন ডিম থাকেনা। ফলে সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বিফলে যায়।নিষেধাজ্ঞার কারণে শুধু জেলেরাই নয়, ক্ষতির মুখে পড়বেন আড়তদার, ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাজারের মাছ বিক্রেতারাও।
মানববন্ধনের আয়োজকরা বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণে আগামী ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ খবরে উপকূলজুড়ে জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে নেমে এসেছে হতাশার ছায়া।
আরও পড়ুন:
জানা যায়, ভরা মৌসুমেও নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে আশানুরূপ ইলিশের দেখা মিলছে না। প্রতিবছর এ সময়ে নদী-সাগরজুড়ে ইলিশের ছড়াছড়ি থাকলেও এবার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হাজারো জেলে পরিবার।
স্থানীয় জেলেরা বলছেন, সাগরে বা নদীতে ইলিশ থাকলেও আগের মতো আর ধরা পড়ছে না। সম্প্রতি কিছু সময় মাছ পেলেও নিষেধাজ্ঞার খবরে আবারও তাঁরা হতাশ। গত বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ১২ অক্টোবর থেকে, কিন্তু এ বছর তা এগিয়ে আনা হয়েছে ৩ অক্টোবর থেকে। ফলে সংশ্লিষ্টরা তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন।
এ সময় ব্যবসায়ী আবদুল হালিম আজাদ, হাজী নুরুল ইসলাম, আকবর হোসেন সহ জেলে সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।





