চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সর্বশেষ ভোট হয় ২০১৩ সালে। সে নির্বাচনে সাবেক এমপি এম এ লতিফ সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হলে সভাপতি হন মাহবুবুল আলম। এরপর টানা পাঁচ নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়নি চেম্বারে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে এমপি লতিফের ছেলে ও মাহবুবুল আলমের মেয়ে একপ্রকার বিনা ভোটেই চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ও সহ-সভাপতির পদে বসে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ লতিফ ও মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম চেম্বারকে পারিবারিক চেম্বারে পরিণত করেছিলেন। পরে ৫ আগস্টের আন্দোলনের মুখে পর্ষদ ভেঙে দায়িত্ব নেয় প্রশাসন।
দীর্ঘ এক যুগ পর আগামী ১ নভেম্বর হচ্ছে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের হেভিওয়েট প্রার্থীসহ রেকর্ড ৭১ জন প্রার্থী। ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভোটের আমেজও দেখা দিয়েছে। তিনটি প্যানেলে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রার্থীরা।
টিম ওয়ানের প্যানেল প্রধান আমিরুল হক বলেন, ‘এখানে ভেদাভেদ থাকলে হবে না। চেম্বারের ব্যাপারে এটা যেন কারো পেশী বা রাজনৈতিক বলয় বা কারে কব্জায় না যায় এটা আমাদের দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন:
সচেতন ব্যবসায়ী সমাজের প্যানেল প্রধান এস এম নুরুল হক বলেন, ‘বিভিন্ন ট্রেড বোর্ড থেকে সমন্বয় করে আমরা প্যানেলটা দিতে চেষ্টা করবো। আমি চাই সবার মতামত নিয়ে এমন একটা কিছু করবো যাতে বাংলাদেশে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমাদের পরবর্তী জেনারেশন অবদান রাখতে পারে।’
সচেতন ব্যবসায়ী সমাজের প্রার্থী শাহজাহান মহিউদ্দিন বলেন, ‘এখানে কোনো সমর্থন ছাড়াই ৬ জন অটো ডিরেক্টর হয়ে যাচ্ছেন। তাদের ভোটের দরকার হচ্ছে না। অবশ্যই এটা সমর্থনযোগ্য না। এটা ব্যবসায়ীদের স্বার্থের বিরোধী। এ টুলসটাকে ব্যবহার করে চেম্বারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এজন্য আমরা এটা বিলুপ্ত চাচ্ছি।’
তবে নির্বাচন বোর্ড জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্রেড ও টাউন গ্রুপের সদস্যরা নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত হবেন বলেও জানানো হয়।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন বোর্ড মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘ভোটার হওয়ার জন্য যে শর্তগুলো আছে এগুলো পূরণ সাপেক্ষে তারা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে এবং মন্ত্রণালয়ে যেহেতু তাদের শর্তগুলো পূরণ হয়েছে তাই ভোটে অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। সেক্ষেত্রে আপিল বোর্ডের আপিল সাপেক্ষে তারা ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।’
এ নির্বাচনে ভোট দেবেন ৬ হাজার ৭৮০ ব্যবসায়ী। ২৪ পরিচালক পদে অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে ১২ জন, অ্যাসোসিয়েটে ৬ জন, ট্রেড গ্রুপে ৩ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৩ জন নির্বাচিত হবেন।





