আজ (সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মুনতাসির মামুন মনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ ভঙ্গের দায়ে ইজারাকৃত প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার বালুমহালের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেন। একই সঙ্গে নির্ধারিত সীমানার বাইরে বালু উত্তোলন না করার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে কড়া হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। নিয়ম অমান্য করলে আরও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় প্রশাসন।
প্রতিবেদনটি হলো:
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙনের ঝুঁকি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বসতবাড়ি হারানোর পাশাপাশি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও বিপদের মুখে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন আগে ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা কমানো যেত।
জেলা প্রশাসনের নথি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল মানিকগঞ্জের পাঁচ উপজেলার সাতটি বালুমহালের জন্য এক বছরের মেয়াদে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ঘিওরের তরা-ক বালুমহালের সম্ভাব্য ইজারা মূল্য ধরা হয়েছিল তিন কোটি ৬৯ লাখ ২২ হাজার ৮০৫ টাকা এবং অনুমোদিত উত্তোলনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ৯৫ লাখ ৯০ হাজার ৩৩৮ ঘনফুট। পরে সব শর্ত মেনে চলতি জুন মাসে প্রতিষ্ঠানটি সাত কোটি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকায় ইজারা নেয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মুনতাসির মামুন মনি জানান, নদী পাড়ের মানুষের জীবন-সম্পদ রক্ষায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। নির্ধারিত সীমানার বাইরে গিয়ে কেউ বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।





