রশিদপুরের তিন নম্বর কূপ থেকে চূড়ান্ত উৎপাদনে যাওয়ার আগে গত রোববার দিনভর গুণগত মান ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হয়। গ্যাসের তাপমাত্রা, চাপ, হাইড্রোকার্বনের মান, ডিহাইড্রেশন, কমপ্রেসর ও মিটারিং সিস্টেমের কার্যকারিতা নিশ্চিতের পর রাতে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সফলতা আসে।
সিলেট সফিল্ডের অধীনস্থ এ কূপটিতে গত দুই মাস আগে ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু করে রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। ৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শেষ হয় এ কাজ। বাপেক্স কর্মকর্তা জানান, ভবিষ্যতেও দেশের প্রয়োজনে গ্যাস উৎপাদনে এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন:
বাপেক্স এমডি মো. ফজলুল হক বলেন, ‘এখানে প্রতিদিন আট মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস সরবারহ করা সম্ভব হবে। আপার জোন কমপ্লিট করা হয়েছে। এ জোনের ভালো রিজার্ভ রয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী দশ বছর এটি রান করবে।’
সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বলছে, কূপটিতে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হচ্ছে।
সিলেট এসজিএফএল এমডি আব্দুল জলিল প্রামানিক বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক সহায়তায় মন্ত্রণালয়ের ও পেট্রো বাংলার সহায়তায় ও কোম্পানিগুলোর সামগ্রিক প্রচেষ্টায় আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছি।’
আগামী দশ বছর এ কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গ্যাস কর্মকর্তারা বলছেন, কূপটিতে মজুত গ্যাসের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।





