ভোলার শিবপুর শান্তির হাটের মো. হোসেন। ভালো চাকরি ও বেতনের আশায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচে সৌদি আরবে গিয়ে পড়েন দালালের প্রতারণায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সব হারিয়ে এখন তার মানবেতর জীবনযাপন।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে সৌদি আরব নিয়ে গেছে মনিরের সহায়তায়। আমার থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে বলেছে তেলের কোম্পানিতে কাজ দিবে। এখন আমার ছেলে কোথায় আছে আমি জানি না।’
আরেক ভুক্তভোগী দৌলতখান উপজেলার জয়নগর গ্রামের ইমন। সৌদি আরবের একটি পেট্রোল পাম্পে ভালো বেতনের চাকরির আশায় দালালের হাতে ছয় লাখ টাকা তুলে দেয় ইমনের পরিবার। কিন্তু প্রতিশ্রুত চাকরির বদলে ভ্রমণ ভিসায় পাঠানো হয় ইমনকে। তিন মাস গেলেও চাকরি তো দূরের কথা, অনাহারে অসহায়ভাবে ঘুরে বেড়াতে হয় তাকে।
আরও পড়ুন:
ভুক্তভোগী ইমনের বাবা বলেন, ‘তিন থেকে চার মাস হয়ে যাচ্ছে চাকরি নেই আমার ছেলের। আমাদের ছেলেকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি আমাদের।’
পরিবারের অভিযোগ, দালাল চক্রের প্রতারণার শিকার শুধু হোসেন আর ইমন নয় ভুক্তভোগী আরও অনেকেই। এ ব্যাপারে অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার স্বজনদের বক্তব্য ভিন্ন।
অভিযুক্ত আব্দুর রহিমের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী এসবের মধ্যে নেই। তার আত্মীয় মনির এ কাজ করে। আর যাদের বিদেশে পাঠানো হয়েছে তাদের অনেক কাজ দেওয়া হয়েছে তবে তারা কাজ করে না।’
প্রমাণ পেলে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন দৌলতখান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।
ভোলা দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়তি রাণী কৈরী বলেন, ‘এখানে যদি কোনো প্রতারক চক্র কাজ করে থাকে তাহলে অবশই আমরা শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবো। যারা ভিকটিম তারা যেন যথাযথভাবে আমাদের কাছে আবেদন করে।’
কঠোর নজরদারি ও প্রতারকদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।




