চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে খানাখন্দ, নির্বিকার প্রশাসন

পাকা সড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা
পাকা সড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা | ছবি: এখন টিভি
5

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে দুর্ভোগের আরেক নাম ৫ কিলোমিটার সড়ক। গোলাম মোহাম্মদ আলীর মোড় থেকে কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কজুড়ে খানাখন্দ আর গর্ত। রাস্তা জুড়েই কাদা আর হাঁটু পানি। রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে চলে না কোনো ভ্যান কিংবা রিকশা। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি তারা।

দ্রুত সড়কটি নির্মাণ হলে ভোগান্তি কমে আসবে বলে আশা স্থানীয়দের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার আলতুলি ইউনিয়নের বাসিন্দা তারা বেগম। ৬ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবার বাড়ি দেবিনগরে। খানাখন্দ আর কাদা ভরা রাস্তায় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যায় তারা বেগমের মেয়ে আসমা । এতে নষ্ট হয়ে যায় আসমার পোশাক।

প্রতিদিনই এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় ভোগান্তি পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ। সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিশু ও রোগীদের। এছাড়া কৃষি পণ্য পরিবহনেও রয়েছে ভোগান্তি। সম্প্রতি স্থানীয়রা সড়কটি নির্মাণের দাবিতে করেছেন মানববন্ধনও। এসময় প্রতিবাদ জানিয়ে সড়কে রোপণ করা হয় ধান। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ সড়ক এখন পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে।

আরও পড়ুন:

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এ এলাকায় রাস্তার একইরকম অবস্থা। চলাচলে অসুবিধা হয় অনেক। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী এবং বয়স্কদের চলাচলে বেশি সমস্যা হয়। এজন্য প্রতিবাদস্বরূপ এ রাস্তায় গাছ লাগাচ্ছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি তারা।

দেবিনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন তার কাছে বেশি জায়গা নেই। মনে করেন রাস্তা আছে ২ হাজার ফিট, কিন্তু তারা অন্য জায়গায় দিয়ে দিয়েছে দেড় হাজার ফিট। এখানে দিয়েছে ২০০ ফিট, তাহলে তো কাজ করা যাবে না। এলজিইডিকে জানালে তারা বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা বলে তাদের হাতে কাজ নেই।’

উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি কর্মকর্তারা বলছেন ইতিমধ্যেই সড়কটি পরিদর্শন করে রোড আইডি'র অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। রোড আইডি গেজেটভুক্ত হলে নেয়া হবে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটির কোনো রোড আইডি না থাকায় আমরা রাস্তাটির কোনো ইম্প্রুভমেন্ট চাইতে পারছি না। রিসেন্টলি আমরা রোড আইডি প্রপোজ করার মাধ্যমে সেটা জেলা প্রশাসকের রেজুলেশনের মাধ্যমে মিনিস্ট্রিতে পাঠিয়েছি। রোড আইডি গেজেটভুক্ত হলে আমরা রাস্তাটা কোনো প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে রাস্তাটার ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারবো।

ইএ