আজ (সোমবার, ২৬ মে) সকাল সোয়া ৭টার দিকে ২১ জনকে পুশ ইন করে বিএএসএফ। এ ব্যাপারে ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক এ এস এম জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলমান রয়েছে।
পরিচয় শনাক্ত হলে তাদের থানায় সোপর্দ করা হবে। এ নিয়ে ৪৬ বিজিবির অন্তর্গত বিভিন্ন সীমান্ত মুরইছড়ায় ২২ জন, ধলাইয়ে ১৫ জন ও মতরেবল সীমান্ত দিয়ে ২১ জনসহ ৫৮ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও ৫২ বিজিবির বড়লেখার লাতু, পাল্লাতল ও বিয়ানীবাজারের নোয়াগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ২৬৫ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান।
বিজিবি জানায়, প্রথমে বিভিন্ন গেট দিয়ে পুশ ইন করলে বর্তমানে কাঁটাতার কেটে একই কাজ করছে বিএসএফ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গহীন বন ও চা বাগান দিয়ে পুশ ইন হচ্ছে। সীমান্তে টহল জোরদারসহ বিভিন্ন জায়গায় পাহারা বসিয়েছে যাতে করে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিজিবি কর্তৃক আটককৃতদের থানায় সোপর্দের পুলিশ তাদের বাংলাদেশের ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে তাদের আত্মীয়স্বজনের হাতে তুলে দিচ্ছে। বর্তমানে অনেকেই বাড়িতে যাবার জন্য বড়লেখা থানায় রয়েছে, যাদের গতকাল বিজিবি থানায় সোপর্দ করেছিল।
এ পর্যন্ত ৫২ বিজিবি ও ৪৬ বিজিবি কর্তৃক বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশে করেছে ৩২৩ জন, যাদের বিজিবি আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিভিন্ন যানবাহন যোগে তাদের গন্তব্যে চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ভারত থেকে আগতরা জানান, সীমান্তের ওপারে হাজার হাজার লোককে ঠেলে পাঠানো থেকে আটকিয়ে রেখেছে বিজিবি।





