বারেক শাহ উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের বাদল শাহের ছেলে। তিনি তার নিজবাড়ি থেকেই পল্লী চিকিৎসা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন এলাকার একটি মাদ্রাসায় পড়া ওই ছাত্রী মাস-দুয়েক ধরে বারেক শাহের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করছিল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিলো না। সেসময় বারেক কলার ভেতরে চেতনানাশক প্রয়োগ করে খেতে দেন। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় স্থানীয় এক নারী বিষয়টি টের পেয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
এরপর ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে থানায় নিয়ে আসেন। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কুমারখালি হাসপাতালে। এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগ, মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে কলার সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছি।
কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘চেতনানাশক খাইয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ওই পল্লী চিকিৎসককে। ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’