রোববার (৪ মে) রাত ৮টার থেকে ১১টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপুর্টি গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপুর্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দবির মাতব্বরের সাথে একই গ্রামের বজলু মুন্সির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রোববার রাত ৮টার সময় দবির মাতুব্বরের পক্ষে সোলেমান মাতুব্বর ও বজলু মুন্সি দলের শাহ আলমের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয় ।
এতে দুই গ্রামবাসী দেশিয় অস্ত্র, ডাল, কাতরা, টেঁটা, রামদা, ইট নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
ভাঙ্গার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. তাহসিন জুবায়ের জানান, সংঘর্ষে ঘটনায় এই পর্যন্ত আহত ৬ থেকে ৭ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং কুদ্দুস মোল্লা নামের একজন নিহত হয়েছেন। কুদ্দুস মোল্লার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হবে।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ আহত হয়েছেন, এদের মধ্য কুদ্দুস মোল্লা নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।’





