রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর আতুরার ডিপোর পেট্রোল পাম্পের সামনের সিসি টিভিতে ধরা পড়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় আগুন লাগার ঘটনা। অন্ধকারে হঠাৎ দেখা যায় দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠা আগুনের চিত্র।
রাউজান থেকে আসা অটোরিকশাটিতে এক শিশুসহ ছয়জন যাত্রী ছিল। অটোরিকশা চালক জানান, আতুরার ডিপো এলাকায় এলে পথরোধের চেষ্টা করে মুখে কাপড় বাধা তিন যুবক। চালক গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে দিলে তারা ছুড়ে মারেন আগুন লাগানো একটি কাঁচের বোতল। এরপরই মোটরসাইকেলে চড়ে সটকে পড়ে দুর্বৃত্তরা।
সিএনজি অটোরিকশা চালক জমির উদ্দিন বলেন, 'এখানে তিনটা ছেলে মুখ বাঁধা ছিল, একটা মোটরসাইকেল ছিল লাল কালারের। এমনভাবে আসছে আমি গাড়ি ব্রেক করে ফেলছি। যাত্রীকে রক্ষা করতে আমি গাড়িতে মোচড় দিয়েছি। তখন কী যেন একটা মারছে বোতলের মতো। মারার পর যাত্রীর দরজার ভেতর বোতল ঢুকে গেছে। তারপর সাথে সাথেই আগুন ধরে গেছে।'
কিছু বুঝে ওঠার আগেই অটোরিকশায় লাগা আগুনে দগ্ধ হন দুই বোন লায়লা ও ঝর্ণা। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে গুরুতর দগ্ধ লায়লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ঢাকায়।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. এস খালেদ বলেন, 'সিএনজিতে আগুন লাগছে, ফ্লেম বার্ন হিসেবে আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছে। একজনের বয়স ৫০ এর মতো উনি বেশি পুড়ছে, প্রায় ৯০ শতাংশের মতো। এবং আমরা পরে উনাকে ঢাকাতে পাঠিয়ে দিয়েছি।'
সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তারা জানায়, তিন যুবক চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা থেকে সিএনজি অটোরিকশাকে অনুসরণ করে আসছিল। এটিকে পূর্ব শত্রুতা বা ছিনতাইয়ের ঘটনা বলেই ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
বায়েজিদ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করছি। আমার সাথে ডিবি টিম আছে। আমরা বিস্তারিত জেনে কেন বা কারা? ছিনতাইকারী না কি পারিবারিক দণ্ড? কী কারণে গ্রাম থেকে আসা একটা সিএনজির উপর অ্যাটাক করেছে এটা আমরা তদন্ত করে বিস্তারিত বলতে পারবো।'
এমন ঘটনা জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। যদিও এই হামলার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে নাকচ করছে পুলিশ।