গাজীপুর মহানগরের ব্যস্ততম এলাকা চান্দনা চৌরাস্তার রিয়াজ টাওয়ার। ভবনের ষষ্ঠ তলায় মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদের ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্টের অফিস। ১৪ এপ্রিল বিকেলে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে ঢুকে পড়ে একদল ডাকাত। প্রথমেই তারা সিসিটিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ভল্ট ভেঙে নিয়ে যায় ৯৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
সিসিটিভি ফুটেজ এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় জড়িত ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানেরই একজন কর্মকর্তা। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। তবে সিসিটিভিতে ছয়জনকে দেখা গেলেও ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে মামলায়। অভিযোগ আছে, গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে তথ্য জানাতেও বাধা দিয়েছে পুলিশ, যা মামলার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে।
এদিকে, ঘটনার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। অভিযোগ উঠেছে, প্রকাশ্যে ডাকাতি হলেও দস্যুতার মামলা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
প্রায়ই গোয়েন্দা পুলিশের ছদ্মবেশে দিনে-দুপুরের ডাকাতিতে স্পষ্ট হচ্ছে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার চিত্র। আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি নগরবাসীর।