অভিযানের সময় এ অফিসে সেবা নিতে আসা প্রার্থীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। শুধু জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় নয় প্রতিটি সরকারি দপ্তরের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার করার দাবী সচেতনদের।
জেলার ধামইরহাট উপজেলা থেকে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা আব্দুস সালাম বলেন, ‘এ অফিসগুলোতে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এমনকি টাকা ছাড়া কোনো ফাইল/নথি নড়ে না। সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে আজ হঠাৎ নজরে পড়লো দুদকের অভিযান। দুদক যদি সপ্তাহে বা মাসে অন্তত একবার অভিযান পরিচালনা করে তাহলে আমরা সকলেই উপকৃত হবো।’
নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের যে মূল্য নির্ধারণ করা থাকে তার সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। খরচ অনুযায়ী টাকার ভাউচারও সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। তাই অফিসগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা উচিত।’ শুধু জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় নয় প্রতিটি সরকারি দপ্তরে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার করার দাবী জানান তিনি।
নওগাঁ সদর সাব-রেজিস্ট্রার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, কিছু দালাল শ্রেণি জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে সেসব বিষয়ে আমার কাছে দুদকের অভিযানে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এছাড়া জমির রেজিষ্ট্রিতে সরকারি ফি কত সে বিষয়ে তথ্য নিয়েছেন তারা। আমার কাছে উড়ো কথা বললে কোনো কাজ হবে না। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।; সরকারি ফি’র বাহিরে অতিরিক্ত কোনো অর্থ নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
দুদক সমন্বিত কার্যালয় নওগাঁর উপসহকারী পরিচালক মেহেবুবা খাতুন রিতা বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। যেখানে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও দলিল সম্পাদনকারীরা (দলিল লেখক) যোগসাজশে জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে। সেই সাথে হয়রানি করা হয় জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের। অভিযান পরিচালনার সময় প্রাথমিক ভাবে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আকারে কমিশন বরাবর পাঠানো হবে।’