তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক মহড়া; উদ্বিগ্ন নয় ওয়াশিয়াংটন

চীনের সামরিক মহড়া
চীনের সামরিক মহড়া | ছবি: আল জাজিরা
0

তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক মহড়াকে পাত্তাই দিলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত না করলেও, খুব একটা উদ্বিগ্ন নয় ওয়াশিয়াংটন। তাইওয়ানের উত্তর জলসীমায় রকেটও ছুঁড়েছে চীনা সামরিক বাহিনী। এদিকে চীনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে তাইওয়ান।

যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার পর বিশ্বাঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রেকর্ড ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র প্যাকেজ ঘোষণার কয়েকদিন পর তাইওয়ানের জল ও আকাশসীমায় জাস্টিস মিশন ২০২৫ নামে একটি সামরিক মহড়া শুরু করেছে বেইজিং।

আজ (মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর) চীনের সামরিক বিভাগ প্রকাশিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তাইওয়ানের উত্তর অংশের জলসীমা লক্ষ্য করে রকেট ছুঁড়ছে সৈন্যরা। এছাড়া গতকাল (সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে চীনের বোমারু বিমান দ্বীপটি ঘেরাও করার লক্ষ্যে বেশ কিছুক্ষণ মহড়া দেয়। বেইজিং জানায়, জানায়, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বহিরাগত শত্রুদের নির্মূলে যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিয়েছে সামরিক শাখা।

এদিকে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চীনের সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে জানান, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাসাধ্য ভূমিকা রাখবে সামরিক বাহিনী। এদিকে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট অভিযোগ তুলেছে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন:

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতি সম্বনয় পরিষদের ডেপুটি জেনারেল জিন ওয়াইজে চেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগারীয় অঞ্চলের সদস্য হিসেবে তাইওয়ান শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিকে সবসময় সমর্থন জানায়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ান ঘিরে চীন যে মহড়া চালাচ্ছে তা শুধু বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতার জন্যই নয় বরং জাতিসংঘ সনদেরও ক্রমাগত লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।’

এছাড়া ফ্লোরিডায় নেতানিহুর সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় তিনি কথা বলেন চীন তাইওয়ান সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়েও। জানান, বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন না তিনি। ২০ বছর ধরে চীন অঞ্চলটিতে এমন মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আমাকে কিছুই অবহিত করেননি। তবে আমি বিশ্বাস করি, শি জিনপিংয়ের তাইওয়ান ঘিরে বড় কোনো পরিকল্পনা নেই।’

তাইওয়ানের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে চীনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর বিরোধ রয়েছে। অঞ্চলটিকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। যদিও তাইওয়ানের এই দাবিকে অস্বীকার করে তাইওয়ানের জনগণ।

এসএস