চলতি বছর এনিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ছয়বার দেখা করলেন নেতানিয়াহু। যদিও এবারের সাক্ষাতের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আর তাৎপর্যও বিচার করলে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় চাপে আছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী।
গেল অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ছিল ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপ কার্যকরে ক্রমাগত জোর দিচ্ছে ওয়াশিংটন। যেখানে আছে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের শর্ত। আর ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরাইলের ভূমিকা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ হচ্ছে তেল আবিবে। এমন প্রেক্ষাপটে সাক্ষাৎ হল ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর।
আলোচনা শেষে এক সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই নেতা। এসময় গাজায় স্থিতিশীলতা আনতে শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয়ধাপ কার্যকরে বিষয়ে জোর দিয়েছেন ট্রাম্প। অবিলম্বে হামাসকে অস্ত্র জমা দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শর্ত না মানলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা হামাসের বিষয়ে আলোচনা করেছি। অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য তাদের আর বেশি সময় দেয়া যাবে না। নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। স্টিভ উইটকফ এবং জেরার্ড এর তত্ত্বাবধানে থাকবে। হামাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু তারা কথা না রাখলে খুব খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
লেবাননের হিজবুল্লাহর সক্রিয়তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এমন প্রেক্ষাপটে ইসরাইল আবারও লেবানিজ ভূখণ্ডে হামলা শুরু করবে কী না এ প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প জানান, পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
অধিকৃত পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপন নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে মতবিরোধের বিষয়টি স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে দ্রুত একটি সমাধানের পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী তিনি। ট্রাম্প আরও প্রত্যাশা করছেন, সৌদি আরবের সঙ্গেও ইসরাইলের সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।
ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কিছুটা স্বস্তিতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের শুরুতেই ঘোষণা দিলেন এ বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইসরাইল অ্যাওয়ার্ড-এ ভূষিত করবে তেল আবিব। ইসরাইল রাষ্ট্র ও ইহুদিদের কল্যাণে ভূমিকা রাখায় ৮০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের ভিনদেশী নাগরিক হিসেবে বিশেষ এই সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রচলিত এমন অনেক প্রথা ভেঙেছেন করেছেন যা বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। তবে সবাই বুঝেছে ট্রাম্প সঠিক কাজই করেছেন। এবার আমরাও এমন একটি প্রথা ভাঙতে যাচ্ছি। ৮০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ইসরাইলি নন এমন ব্যক্তিকে ইসরাইল অ্যাওয়ার্ড দেব। এ বছর এই পুরস্কার পাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।’
এদিকে সিরিয়া ইস্যুতেও খোলামেলা কথা বলছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। নেতানিয়াহু বলছেন, সিরিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সীমান্ত নিশ্চিত করতে আগ্রহী ইসরাইল। আর ট্রাম্পের প্রত্যাশা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে ইসরাইল ও সিরিয়া





