আলাউইত সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় বোমা হামলার জেরে আবারও উত্তাল সিরিয়া। হামলার কবলে পড়া সংখ্যালঘু আলাউইত সম্প্রদায় ও সিরীয় সরকার সমর্থিত আন্দোলকারীদের বিক্ষোভে এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অনেকে।
দেশের বাইরে থেকে এই বিক্ষোভের ডাক দেন সুপ্রিম আলাউইত ইসলামিক কাউন্সিলের নেতা ঘাজাল ঘাজাল। সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দেন তিনি।
এরই জেরে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চল ও উপকূলীয় শহরের রাস্তায় নামে আলাউইত গোষ্ঠীর সমর্থকরা। এক পর্যায়ে আলাউইতের এই প্রতিবাদ রুখে দিতে পথে নামে আল শারা সমর্থিত বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয় তীব্র সংঘর্ষ। দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে মাঠে নামে সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এতে প্রাণ যায় কয়েকজনের। বার্তা সংস্থা এপি বলছে, নিহতদের একজনের শরীরে গুলি পাওয়া গেলেও বাকিদের মৃত্যু হয়েছে কোনো বস্তুর আঘাতে।
আরও পড়ুন:
কেন্দ্র ও প্রদেশের শাসনভিত্তিক সমন্বয়, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়ার আগ পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আলাউইতের অনুসারীরা।
পরিস্থিতি সামলাতে এরইমধ্যে, লাতাকিয়া ও তার্তুসে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সুসজ্জিত সেনাবহর ও ট্যাংক পাঠিয়েছে আল শারা সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। একটি বিবৃতি দিয়ে আন্দোলনকারীদের রাজপথ ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া অফিস।
এদিকে গেল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) হোমস প্রদেশে আলাউইত সম্প্রদায়ের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। চিহ্নিত করা যায়নি হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে। সারায়া আনসার আল-সুন্না নামে একটি ইসলামি সংগঠন এক টেলিগ্রাম বিবৃতিতে এ হাময়ার দায় স্বীকার করেছে।





