দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক যেকোনো টুর্নামেন্টেই অন্যতম বড় আকর্ষণ থাকেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। যারা দলগুলোর গ্ল্যামার বাড়ানোর পাশাপাশি ফলাফলের ক্ষেত্রেও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে শুরু হয়েছে বিপিএলের দ্বাদশ আসরের মাঠের লড়াই। এর আগে বিদেশি খেলোয়াড়দের অনেকেই যোগ দিয়েছেন দলগুলোর সঙ্গে।
একসময় বিশ্বের বড় বড় তারকারা বিপিএল মাতিয়েছেন। দ্বাদশ বিপিএলে বেশ কিছু দল ভালো মানের বিদেশি আনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু টুর্নামেন্ট যত ঘনিয়ে এসেছে, ততই বেড়েছে মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা। এর মাঝে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস।
আরও পড়ুন:
বিপিএলে নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজিটি শুরু থেকেই বেশ আলোচনায়। আলাদা আলাদা কারণে চট্টগ্রাম দল থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিয়েছেন তিন বিদেশি ক্রিকেটার। নিলামের আগে সরাসরি চুক্তি করা পাকিস্তানি লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ বোর্ডের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় আসছেন না। চোটের কারণে সরে গেছেন শ্রীলঙ্কার নিরোশান ডিকওয়েলা। আর অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলবেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং।
বিপিএলের সঙ্গে একই সময় চলবে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি। ৪ জানুয়ারি টুর্নামেন্ট শেষে সিলেট দলে যোগ দিতে পারেন মঈন আলী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ঢাকা ক্যাপিটালসও শুরু থেকে সব বিদেশিকে পাচ্ছে না। আইএল টি-টোয়েন্টি শেষে অ্যালেক্স হেলস ও রহমানউল্লাহ গুরবাজকে পাবে দলটি।
আচমকা আয়োজিত পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্যও বিপদে পড়েছে বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যেখানে সবচেয়ে বেশি বিপদে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। বেশ ভালো স্কোয়াড সাজালেও ৭-১১ জানুয়ারি হতে যাওয়া সিরিজের জন্য সাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ নেওয়াজকে ছাড়তে হবে তাদের। একই সিরিজের জন্য ঢাকা ক্যাপিটালসে কয়েক ম্যাচ খেলবেন না দাসুন শানাকা।
চোট পেয়ে নোয়াখালী এক্সপ্রেস থেকে ছিটকে গেছেন কুশল মেন্ডিস। একদিক থেকে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতে পারে রংপুর রাইডার্স। দলটির কোনো বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় দলে ডাক না পেলে পুরো মৌসুমই খেলতে পারবেন। তবে বাকি দলগুলোরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যেকোনো সময় যে কাউকে দলে নেওয়ার সুযোগ থাকায় টুর্নামেন্টের মাঝপথে চমক দেখাতে পারে যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। যদিও এতে টুর্নামেন্টের উত্তেজনা কতটা বাড়ে সে প্রশ্ন থেকেই যায়।





