বেনাপোলে আটকা শতকোটি টাকার রপ্তানিমুখী সুপারি; ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা

বন্দরে সুপারির ট্রাক | ছবি: এখন টিভি
0

বেনাপোল বন্দরে দুই মাস ধরে আটকে আছে শতকোটি টাকার দেড় শতাধিক রপ্তানিমুখী সুপারির ট্রাক। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ- ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যের মান নির্ণয় ও কৃত্রিম জটিলতায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এদিকে, আটকে থাকা সুপারির ট্রাকে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড গুনতে হচ্ছে রপ্তানিকারকদের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের হাতে কাগজ পৌঁছালে দ্রুত ছাড় করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় সাতশো কোটি টাকার সুপারি রপ্তানি হয় ভারতে। তবে, গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর রপ্তানি বাণিজ্যে আসে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও শর্ত। এতে রপ্তানির পরিমাণ নেমে এসেছে ৩০ শতাংশে।

সীমান্তের ওপারে মান পরীক্ষায় ধীরগতিসহ কৃত্রিম সমস্যা তৈরিতে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় দুই মাস বেনাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে দেড় শতাধিক রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী ট্রাক। যেখানে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড গুণতে হচ্ছে রপ্তানিকারকদের। এতে ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। আর দীর্ঘদিন বন্দরে আটকে থেকে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ট্রাক চালকদের।

ট্রাক চালকরা জানান, ভারত থেকে যোগাযোগ করে বলা হয়েছে তারা নেবে। তবে একমাস সময় হয়ে গেলো এখনো তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। এভাবে বসে থাকার ফলে তাদের আয় ভালো হচ্ছে না বলে জানান তারা। সেই সঙ্গে গাড়ি এভাবে ফেলে রাখার ফলে গাড়িতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মালিকপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পরীক্ষণসহ নানা কারণ দেখিয়ে পণ্য নিতে দেরি হচ্ছে। তবে, দ্রুত এসব পণ্য খালাসের চেষ্টা চলছে বলে জানান রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, সুপারির গাড়িগুলো দীর্ঘদিন থেকে সেখানে আটকা পড়ে আছে। ফলে রপ্তানি বাণিজ্যে তারা ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। ট্রাকগুলো দাড়িয়ে আছে। প্রতিদিন ট্রাকগুলোর পেছনে গড়ে দুই হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

এদিকে, যেসব সুপারির ট্রাক বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে, তার কাগজ হাতে পেলে দ্রুত ছাড়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর সহকারী পরিচালক রতন কাজী বলেন, ‘কাগজপত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও পরীক্ষার কারণে সুপারির গাড়িগুলো আটকা থাকতে পারে বলে আমাদের ধারনা। তবে রপ্তানি কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে অবগত নই।’

যশোর বেনাপোল বন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র উপ-পরিচালক আবু তালহা বলেন, ‘অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমাদের এ বন্দর দিয়ে প্রায় ১০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন সুপারি ভারতে রপ্তানি হয়েছে। আমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিয়ে নেই।’

ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, আসবাবপত্র, ফলের জুসসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পণ্য সড়ক পথে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

এফএস