দুর্ঘটনার পর গাড়িচালক তাইবুর হোসেনকে ফোন করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। নিহত ফাইজার বাবা ফাইজুল হক স্থানীয়ভাবে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তাদের বাড়ি বরিশাল জেলার ওজিরপুর উপজেলার তেরদ্রন ডাকঘর পুটিয়া গ্রামে।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে উপজেলা চত্বরে আসে। এ সময় দ্রুতগতিতে প্রবেশ করা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সরকারি গাড়িটি শিশুটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই বছরের ফুটফুটে শিশু ফাইজার। হৃদয়বিদারক এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির মা।
আরও পড়ুন:
শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, ‘গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে আসছিল। নিমিষেই আমার কলিজার টুকরা ফাইজা চলে গেলো।’
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোমনা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ মোফাসের এবং নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শহিদুল ইসলাম হোমনা সরকারি হাসপাতালে ছুটে যান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি গাড়িতে ছিলাম না। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসি। এই শিশুটি আমার সন্তানও হতে পারতো। আমি একজন বাবা হিসেবে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবো।’
এদিকে নিহত শিশুর বাবা গাড়িচালকের ফাঁসিসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
শিশু ফাইজার মৃত্যুতে পুরো উপজেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি উপজেলা চত্বরে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।





