বিবাহ বিচ্ছেদ,ভরণপোষণ কিংবা মোহরানার টাকা আদায়ের মতো পারিবারিক মামলা আদালতে নিয়মিত ব্যাপার। মামলার পর চলে যায় বছরের পর বছর। পারিবারিক আদালতের এ চিরায়ত চিত্র পাল্টে গেছে চট্টগ্রাম আদালতে।
মামলায় দীর্ঘসূত্রতা ও হয়রানি কমাতে ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামে ই-পারিবারিক আদালত চালু করেছে সরকার। পেপারলেস এ কার্যক্রমে শারীরিকভাবে বিচার প্রার্থীকে আর আদালতে আসতে হবেনা। সাক্ষ্য প্রদান, সমনসহ সবকিছুই হবে ডিজিটালি। আইনজীবীরাও যেকোনো সুবিধাজনক স্থান থেকে কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
বিচার প্রার্থীরা বলেন, তাদের মামলা কোন অবস্থায় আছে তা জানতে পারছেন। মামলা সম্পর্কে সঠিক ধারনা পাচ্ছেন তারা।
এ ডিজিটাল আদালতে দ্রুত অনলাইনে মামলা করা, বাড়ি থেকে সেবা পাওয়া, ডিজিটাল নথি জমা, দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা মামলা দাখিল এবং অনলাইন শিডিউলিংসহ যাবতীয় সুবিধা মিলছে। তবে বিষয়টি নতুন হওয়ায় আইনজীবীসহ বিচারপ্রার্থীদের কাছে প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিলতা তৈরি করছে।
আরও পড়ুন:
আইনজীবীরা জানান, তারা আইনজীবী নির্বাচন থেকে শুরু করে সব কিছু ঘড়ে বসে করতে পারছেন। ফাইন, সাক্ষীসহ সবকিছুই তারা অনলাইনে করতে পারবেন। তবে এ ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাধারণ মানুষদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানান তারা।
চট্টগ্রাম ই-পারিবারিক আদালত বেঞ্চ সহকারী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাদের বিভিন্ন প্রসেস শিখিয়ে দিচ্ছি কীভাবে মামলা দাখিল করবে। যতটুকু সহযোগিতা করার দরকার আমরা করছি। এতে তাদের খরচ কমবে। পাশাপাশি তারা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত পাবে।’
প্রযুক্তিনির্ভর এ আইনী সেবাকে সহজ ও জনপ্রিয় করতে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ আইনজীবী নেতাদের।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী বলেন, ‘বিচার প্রার্থী জনগণ ও অ্যাডভোকেট সাহেবরা এর সুফল পাবেন। শিগগিরই আমরা অডিটোরিয়ামে একটি কার্যক্রম শুরু করব, যারা আগ্রহী তারা আসবেন, শিখবেন জানবেন।’
বর্তমানে নগরীর সদরঘাট,কোতোয়ালি, চকবাজার ও কর্ণফুলী থানা এলাকার বাসিন্দারা পাচ্ছেন এই ই-পারিবারিক আদালতের সেবা।





