১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই কার্যত মুক্তিবাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণের তীব্রতার মুখে পঞ্চগড় শহর থেকে অমরখানা ও তালমার মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। পরে ২৮ নভেম্বর রাতে পঞ্চগড় চিনিকল এলাকায় পাকসেনাদের শেষ ঘাটি দখল করতে যুদ্ধ শুরু করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনী।
যৌথ বাহিনীর প্রবল আক্রমণে ভোরের দিকে চিনিকল ঘাটি ছেড়ে খান সেনারা ময়দানদিঘী ও ঠাকুরগাঁয়ের দিকে পালিয়ে যায়। ভোরের আলো ফুটতেই জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয় চারপাশ।
আরও পড়ুন:
পরে সুগারমিল চত্বরে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে গেলে আহত এক খানসেনার গুলির আঘাতে শহিন হন বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ রবি।
পঞ্চগড় মুক্ত করার যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর প্রায় ২৫০ জন শহিদ হন। পাকসেনাদের মধ্যে ২০০ জন হতাহত হয় এবং ২৭ জনকে জীবিত আটক করা হয়।
অবশেষে দেশের উত্তরের সীমান্ত এ জেলার বুকে উড়ানো হয় বাংলাদেশের পতাকা। গত দেড় দশক ধরে এ দিনটিকে গৌরবের সঙ্গে ‘পঞ্চগড় মুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা প্রশাসন।





