বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ী নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
তিনি জানান, প্রতিবছর ইজতেমার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে এ জোড় অনুষ্ঠিত হয়। এখানে তাবলীগের সাথীরা পুরো বছরের কাজের কারগুজারি পেশ করেন এবং মুরুব্বিদের থেকে রাহবারী নেয়ার সুযোগ পান। এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের শুরায়ী নেজামের প্রবীণ মুরুব্বিরা এরমধ্যেই টঙ্গীতে সমবেত হয়েছেন।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘পাঁচ দিনের জোড় তাবলীগ জামাতের সোনালী ঐতিহ্য। দাওয়াতের কাজের চেতনার স্পন্দন জাগানো একটি বিশেষ আয়োজন। এখান থেকেই সারা বছরের কাজের সঠিক নকশা ও দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হয়। দাঈদের আমল, দাওয়াত, তরতিব এবং দেশের প্রেক্ষাপটে করণীয়-নিষ্করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান উপস্থাপন করেন বড়রা। যা একজন সাথীর দুনিয়া ও আখেরাতের জিন্দেগী পরিচালনায় দিশা দেয়।’
আরও পড়ুন:
তিনি জানান, জোড় ইজতেমায় কেবল তিন চিল্লার সাথী এবং কমপক্ষে এক চিল্লা সময় লাগানো আলেমরা অংশ নিতে পারেন। এতে করে জোড়ের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও গুরুত্ব বজায় থাকে।
ইতিহাসের উল্লেখ করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘একসময় পাঁচ দিনের জোড়ে বয়ান করতেন মাওলানা সাঈদ আহমদ খান পালনপুরী (রহ.), মিয়াজী মেহরাব, মাওলানা উমর পালনপুরী (রহ.), মাওলানা ওবাইদুল্লাহ বালিয়াভী (রহ.), কারী জহির (রহ.)সহ বহু মনীষী। এখনও প্রতিবছর হিন্দুস্তান, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবীণ আলেম ও হযরতজী মাওলানা ইউসুফ (রহ.) ও হযরতজী মাওলানা এনামুল হাসান (রহ.) এর সোহবতপ্রাপ্ত মুরুব্বিগণ এসে বয়ান করেন।’
প্রায় পাঁচ দিনব্যাপী এ জোড় থেকে দাঈরা সারা বছরের দাওয়াতি কাজের পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় রাহবারী (দিক নির্দেশনা) লাভ করবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।





