চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বরের দৃশ্য এটি। দুই মিনিটের হাঁটা রাস্তা যানবাহনে পার হতে লাগে ৩০ মিনিট। সকাল-বিকেল কিংবা রাতে সবসময় লেগেই থাকে যানজট। ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুর জেলা পরিণত হয়েছে যানজটের নগরীতে।
শুধু শপথ চত্বর এলাকাই নয়, কালীবাড়ি, পালবাজার, চিত্রলেখা মোড়, ছায়াবানী মোড়, নতুন বাজার, বাস স্ট্যান্ডসহ শহরের প্রায় প্রতিটি সড়কেই যানজট নিত্যদিনকার ঘটনা। এতে ব্যহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। জমার টাকা তুলতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে অটোরিকশা চালকদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যানজটের ফলে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে প্রতিদিন তাদের ব্যাপক কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। শহরমুখী নতুন সড়ক প্রয়োজন বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন:
চালকরা জানান, শহরে অটোরিকশার পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে। দশ মিনিটের রাস্তায় তাদের এক ঘণ্টা সময় লাগছে।
সড়কের দুই পাশ ভ্রাম্যমাণ হকারদের দখলে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, অপেশাদার চালক, ট্রাফিক পুলিশের জনবল সংকটসহ অপর্যাপ্ত সড়কের কারণে বাড়ছে যানজটের তীব্রতা। জেলায় প্রায় ১১ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্যাডেল রিক্সার সঙ্গে অবৈধ যানের সংখ্যাও কয়েক হাজার। যানজট নিরসনে বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি আরও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের কথা জানান কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর ট্রাফিক বিভাগ সার্জন্ট আ জব্বার মোল্লা বলেন, ‘এখানে অটোর পরিমাণ বেশি। অটোর পরিমাণ কমানো গেলে আমরা যানজটের প্রেসার কমাতে পারতাম। এ নিয়ে আমরা প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছি’।
চাঁদপুর পৌর প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া বলেন, ‘কিছু সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম। তবে আমরা সে সিদ্ধান্তগুলো এখনো শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আশা করছি, সামনে কিছু দিনের মধ্যেই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। বলেছি, মাইকিং করার তিন দিনের মধ্যে যারা অবৈধভাবে মালামাল রাখবেন, তাদের আমরা কঠিন শাস্তি দেব’।
শুধু কর্তৃপক্ষের আশ্বাস কিংবা ঘোষণা নয়, যানজট নিরসনে এবার বাস্তবায়নযোগ্য পদক্ষেপ দেখতে চায় নগরবাসী।




