দল-মার্কা দেখে ভোট দেয়ার সেই অবস্থা এখন নেই: সারজিস আলম

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম | ছবি: এখন টিভি
0

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বিগত সময়ে বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পুরোনো কালচারে মাঠ পর্যায়ে যেভাবে ইকুয়েশন হিসাব করতো, যেভাবে মানুষ আগে দলের নাম দেখে, মার্কা দেখে ভোট দিয়ে আসতো, এখন বর্তমানে মাঠের সেই অবস্থা আর নেই। আজ (রোববার, ২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে শহিদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

সারজিস বলেন, ‘এখনো যারা পুরোনো রাজনৈতিক কালচারের উপর আস্থা রেখে মনে করছেন যে শুধু নির্বাচনের কয়েকদিন আগে আবারো মাঠে গিয়ে আপনারা জিতে আসবেন, যেটা আপনারা আগে করতে পেরেছিলেন। আপনাদের আমরা বলতে চাই যে, সময় থাকতে আপনারা মাঠে গিয়ে জনগণের কথা শুনুন। জনগণ কী বলে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। কারণ আপনাদের অনেক স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মী হয়ত কোনো একটা জেলায় পাঁচজন-দশজন মিলে এমন কিছু কার্যক্রম সাধারণ মানুষকে হয়রানি ভোগান্তি শুরু করেছে, যে শত শত মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে, এগুলোকে পাশ কাটিয়ে আগামীর বাংলাদেশে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে মাঠে গিয়ে ভোট পেয়ে জিতে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের আহ্বান করবো, আপনারা মাঠে যান এবং আমরা আমাদের জায়গা থেকে এনসিপির যারা নেতাকর্মী আছেন, তারা যেভাবে মাঠে যাচ্ছেন, কাজ করছেন আমরা আশাবাদী যে আগামীতে মাঠ পর্যায়ে বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো দলের প্রতি অন্ধ থাকবে না।’

সারজিস বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি আগামীতে মানুষ বয়সের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে, মার্কার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে, পুরাতন দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে কাউকে বিজয়ী করে আনবে না।’

এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংগঠন টিমের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় আমরা আমাদের আহ্বায়ক কমিটি করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এরইমধ্যে উত্তরাঞ্চলের ৩২টি জেলার মধ্যে ২০টি জেলার আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। আমরা আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ওয়ার্ড পর্যন্ত এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি আগামী নির্বাচনে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখে সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এনসিপির সাংগঠনিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যে আমাদের উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের এই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি চলছে।’

ইএ