উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর হোয়াইট হাউসের বৈঠকে ট্রাম্প-মামদানির অপ্রত্যাশিত উষ্ণ হাসিতে অবাক যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পুরো বিশ্ববাসী। এখন প্রশ্ন হলো; পূর্বের কড়া সমালোচনার জন্য আত্মসমর্পণ করে কী মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন জয় করেছেন নিউইয়র্কের সিটি মেয়র। না দেখিয়েছেন ভিন্ন কোনো কারিশমা। যার কারণে সাংবাদিকদের সামনে মামদানির প্রশংসা ছাড়া একটিও কটু কথা বলেনি ট্রাম্প!
এ অবস্থায় দেখা যায়, নিজের অবস্থানে বেশ অনড় ছিলেন জোহরান মামদানি। সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাব থেকেই তার প্রমাণ মেলে। যেমন ট্রাম্পের সামনে দাঁড়িয়েও গাজায় ইসরাইলি গণহত্যায় অর্থায়নের জন্য মার্কিন সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েননি নিউইয়র্কের নব নির্বাচিত মেয়র।
নিউইয়র্ক সিটির নব নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বলেন, ‘ইসরাইল সরকার গণহত্যা চালাচ্ছে এবং আমাদের সরকার এর জন্য অর্থায়ন করছে; সে সম্পর্কে আমি আগেও কথা বলেছি। নিউইয়র্কবাসী তাদের করের অর্থ নিজেদের সুবিধা এবং মৌলিক মর্যাদায় ব্যয় করতে চায়। অন্য কোথাও না। তাই তাদের উদ্বেগ নিয়ে প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যদি নিউইয়র্ক সফর করেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত রাখার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি-না; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মুখোমুখিও হতে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। উত্তরে ট্রাম্প জানান, মামদানির সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি তার।
আপনাদের প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
কিছুদিন আগে ট্রাম্প স্বৈরশাসক এবং দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন এমন মন্তব্য প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে মামদানি বলেন, তার দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনি খুবই স্পষ্ট।
জোহরান মামদানি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি উভয়ই আমাদের অবস্থান এবং দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে খুবই স্পষ্ট। প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে আমি প্রশংসা করি, কারণ বৈঠকে মতবিরোধগুলোকে পাশ কাটিয়ে কেবল নিউইয়র্কবাসীদের সেবা নিশ্চিতে আমরা মনোনিবেশ করতে পেরেছি।’
স্বৈরশাসক বলেও, মেয়র হিসেবে কাজ শুরুর পর নিউইয়র্ক সিটির নব নির্বাচিত মেয়রের ধারণায় পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমাকে একজন স্বৈরশাসকের চেয়েও অনেক খারাপ বলা হয়েছে। এটি এতটা অপমানজনক নয়। আমি মনে করি আমার সাথে কাজ শুরুর পরে তিনি তার মন পরিবর্তন করবেন।’
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরটির অপরাধ ও অভিবাসন মোকাবেলায় একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প ও নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র মামদানি। নিউইয়র্ক সিটিকে এগিয়ে নেয়ার প্রশ্নে; ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প এবং ৩৪ বছর বয়সী মামদানির বৈরিতা পাশকাটিয়ে চলা অব্যাহত রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা মার্কিনিদের।





