চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে অপারেশন আয়রন ওয়াল নামে এক অভিযান চালিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন, তুলকারেম এবং নূর শামস ক্যাম্পের প্রায় ৩২ হাজার বাসিন্দাকে বাস্তুচ্যুত করে ইসরাইলি বাহিনী।
শুধু বাস্তুচ্যুত করেই ক্ষান্ত হয়নি, গৃহহীন মানুষগুলোকে ফিরতে বাধা দেয়ার পাশাপাশি শত শত বাড়িঘর ভেঙে দেয় আইডিএফ। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর ১০৫ পাতার প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য।
ফিলিস্তিনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘তারা আমাদের ক্যাম্পের প্রবেশপথে নিয়ে গেল, সেনাবাহিনী সেখানে আমাদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে দেখল। তারা আমাদের চলে যেতে বলল, তারা শিশু, বৃদ্ধ মহিলা কাউকেই পরোয়া করে না।’
অন্য আরেকজন ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা আমাদের ঘর ছেড়ে কিছুই না নিয়ে বুরকিন শহরে পালিয়ে এসেছে। অর্থের অভাবে আমরা কিছুই কিনতে পারছি না। আমরা খুব কষ্টকর জীবনযাপন করছি।’
আরও পড়ুন:
বাস্তুচ্যুত হওয়ার ১০ মাস পরেও অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেনি বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক গবেষক।
হিউম্যান রাইটসের গবেষক মিলেনা আনসারি বলেন, ‘আমরা ভিডিও এবং স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করেছি এবং প্রায় ৩১ জন সাক্ষাৎকার গ্রহীতার সঙ্গে কথা বলেছি, যারা এ শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ছিলেন। এরইমধ্যে বাড়িঘর এবং ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ১০ মাস পর, পরিবারের কেউই তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি। আসলে ফিরে যাওয়ার মতো কোনো বাড়ি নেই।’
পশ্চিমতীরে এমন বর্বর আচরণ যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ অ্যাখ্যা দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ইসরাইলি বাহিনীকে জবাবদিহির আওতায় আনার পাশাপাশি নির্যাতন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি।
এদিকে, পশ্চিম তীরে অভিযানের নামে নেতানিয়াহু বাহিনীর ধরপাকড় চলছেই। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আর গাজা উপত্যকাজুড়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকদের।
দক্ষিণ লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরের কাছে প্রশিক্ষণরত হিজবুল্লাহ সদস্যদের ওপর হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।





