টানা দুই বছরের ইসরাইল আগ্রাসনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শুরু হয় ইসরাইল হামাস যুদ্ধবিরতি। প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী প্রথম ধাপের গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার কথা থাকলেও একের পর এক সামরিক অভিযান ও বিমান হামলা চালিয়ে এসেছে ইসরাইল।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এমন অভিযোগ তুলে বার বার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইলি সেনারা। পাল্টা অভিযোগ করেছে হামাসও। গোষ্ঠীটির দাবি একের পর এক হামলা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করেছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সমাধান করতেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে, গাজায় আন্তর্জাতিক সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব রাখে যুদ্ধবিরতির প্রধান মধ্যস্থতাকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রস্তাব অনুযায়ী গাজায় বোর্ড অব পিস নামে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠন করা হবে। গাজাবাসীকে নিরাপত্তা দিতে অস্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী, আইএসএফ।
আরও পড়ুন:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের পক্ষে রায় দেয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এতেই উদ্বেগ দেখা দেয় সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হিসেবে ট্রাম্প, গাজার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে উপত্যকাটিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে আলাদা করতে চান বলে আশঙ্কা গাজাবাসীর।
ফিলিস্তিনি নাগরিকরা বলেন, শান্তি পরিষদের প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে অবশ্যই টনি ব্লেয়ার এবং অন্যান্যরা যোগ দেবেন যারা ফিলিস্তিনি বা আরব নন। এতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর, বিশেষ করে গাজা উপত্যকার উপর একটি ট্রাস্টিশিপ প্রতিষ্ঠা হবে, যা গাজাকে মাতৃভূমির বাকি অংশ থেকে আলাদা করবে।
এটি ফিলিস্তিনিদের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার একটি প্রস্তাব। এতে শান্তি অর্জন এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আশা নেই। এই চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালনায় ফিলিস্তিনি এবং ইসরাইলিদের মধ্যে একটি সংযোগ থাকবে।
ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হওয়া ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাসও। তাদের অভিযোগ এই ২০ দফা প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক প্রত্যাশা ও মানবিক চাহিদার কোনো প্রতিফলন নেই।





