সিসিটিভি আছে, নিরাপত্তা নেই; খুনের ‘নতুন ট্রেন্ড’ যেন প্রকাশ্যে গুলি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি | ছবি: সংগৃহীত
1

প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা রাজধানীতে যেন নতুন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনাস্থলেই জড়িতদের গ্রেপ্তার করা গেলেও মূল পরিকল্পনাকারীরা থেকে যাচ্ছেন অধরা। ডিএমপির মিডিয়া উইং জানায়, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসেই রাজধানীতে খুন হয়েছে ১৯৮ জন।

পল্লবী সি-ব্লকে একটি দোকানে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। কেন হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে আন্ডারওয়াল্ডের সন্ত্রাসীদের মতবিরোধের কথা শোনা গেলেও কিছুই জানে না পুলিশ।

এ ঘটনার ঠিক কয়েকদিন আগে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। যেখানেও উঠে আন্ডারওয়ার্ল্ডের আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নাম।

প্রশ্ন ওঠে আন্ডারওয়াল্ডের সক্রিয়তা নিয়ে। শুধু এ দুটি ঘটনা নয়, এ বছরের প্রথম ১০ মাসে খোদ রাজধানীতে ১৯৮টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:

বিশ্লেষণ করে দেখা যায় অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক মতবিরোধ, আধিপত্য বিস্তার ও মাদক কারবার জড়িত।

হত্যার ঘটনার পর ঠিকই তৎপর হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারও হয় আসামি। তবে হত্যার কলকাঠি নাড়া ব্যক্তিরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ বিষয়ে কী বলছে পুলিশ।

অভিযোগ রয়েছে দেশে এখন ভাড়া পাওয়া যায় অস্ত্র। এছাড়া পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের রুটের সন্ধানের দাবি।

হত্যাকাণ্ডের পরই আসামি সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ, দাবি দায়িত্বশীলদের। তবে জিরো টলারেন্স নীতিতে অপরাধীদের মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছে ডিএমপি।

এসএস