স্পেনের ফ্লাডলাইটে ঝলমলে জাতীয় স্টেডিয়াম, বঞ্চিত ক্লাব ফুটবল

জাতীয় স্টেডিয়াম
জাতীয় স্টেডিয়াম | ছবি: এখন টিভি
0

এক মাসের ব্যবধানে আবারও জাতীয় স্টেডিয়ামে লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। ইউরোপের স্টেডিয়ামের মতো নান্দনিক খেলার মাঠ করতে সুদূর স্পেন থেকে আনা হয় ফ্লাডলাইট। তবে জাতীয় দল ছাড়া ক্লাবগুলো জাতীয় স্টেডিয়ামে দরজা বন্ধ থাকায় উন্নতমানের ফ্লাডলাইটের নিচে খেলার আফসোস সাবেক ফুটবলার থেকে বর্তমান খেলোয়াড়দের।

জাতীয় স্টেডিয়ামে একের পর এক খেলা। আর্চারির পর দম নেয়ার যেন ফুরসত নেই মাঠটির। ব্যস্ততম এ মাঠে আর্চারির এশিয়ান গেমসের পর পরই বাংলাদেশ-নেপালের প্রীতি ম্যাচের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন বাফুফের মাঠ কর্মীরা।

ঘাস কাটা থেকে গোল পোস্টের জাল লাগানো সবকিছুই শেষ করতে হবে অল্প সময়ের মধ্যে। সময়ের অভাবে মাঠের সেভাবে পরিচর্যা করতে না পারায় মাঠ কর্মী চান মিয়ার কণ্ঠে আফসোস।

এদিকে মাঠের অবিরাম ব্যবহারের কারণে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন সাবেক ফুটবলার এবং কোচ আলফাজ আহমেদ।

মোহামেডাম স্পোটিং ক্লাব কোচ আলহাজ আহমেদ বলেন, ‘আর্চারিতে এতো প্রেশার পরে না। দেশের প্রয়োজনে সবার একটু সেক্রিফাইজ করেই খেলতে হয়। সবাই থাকবে, সবাই সবার সমস্যা দেখবে এটি আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ব্যাপার।’

আরও পড়ুন:

কোচ আলফাজ আহমেদ আরও বলেন, ‘যতদিন যাচ্ছে ততো আধুনিক হচ্ছে। আমাদের সময় কম আলো ছিলো এখন আরও উজ্জ্বল আলো। আমার মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে। অজুহাত দিলে হবে না। সব জায়গাতেই উন্নতি করতে হবে। যদিও আমাদের লাইট ডিজিটাল, আরও অনেক জায়গা আছে যেগুলো অনুন্নত সেগুলোর দিকে খেয়াল করলে আমার মনে হয় ভালো হবে।’

মোহামেডান খেলোয়াড় অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিঠু বলেন, ‘আমাদের স্টেডিয়াম থেকে গ্যালারি অনেক দূরে। আর বাহিরের দেশে দেখা যায় মাঠ আর গ্যালারী কাছাকাছি। এজন্য আমাদের লাইটগুলো বেশি দেয়া। পর্যাপ্ত আলো যেন পাই।’

ফ্লাড লাইটের মতো জ্বলে উঠে জাতীয় স্টেডিয়ামে জয়ের আনন্দে মাতবে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। এমনটাই আশা ফুটবল সংশ্লিষ্টদের।

এফএস