কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন শ্রী শ্রী রাধা-কৃষ্ণ তীর্থযাত্রী সেবাশ্রম এবং কলাপাড়া শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রম চত্বরে রাধা-কৃষ্ণের প্রতিমা নির্মাণ ও স্থাপন শেষ পর্যায়ে। কাল ভক্ত ও পুঁথিদের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায়। আগামী (বুধবার, ৫ নভেম্বর) ভোরে পুণ্যস্নান করছেন লাখো পূন্যার্থী।
আয়োজকরা জানান, তাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। লাইটিংয়ের কাজ চলছে। কাল মন্দিরে প্রতিমা আনা হবে।
এরমধ্যে মন্দির চত্বরে দোকান নির্মাণ এবং পূন্যার্থী ও পূজারিদের পূজা পালনের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন আয়োজকরা। প্রস্তুত রয়েছে কুয়াকাটার দুই শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট।
কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থ যাত্রী সেবাশ্রম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নীহার রঞ্জন মন্ডল জানান, আমাদের দোকানপাট প্রস্তুতের কাজ চলছে, এবছর জমজমাট মেলা আয়োজিত হবে।
আরও পড়ুন:
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মোতালেব শরীফ জানান, হোটেলে বুকিং দেয়া হয়েছে। মেলা উপলক্ষে মানুষ ৪ তারিখ থেকে আসতে শুরু করে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পূন্যার্থী ও রাস মেলায় আগতদের নিরাপত্তা এবং সেবা নিশ্চিতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। র্যাব,পুলিশসহ বিভিন্ন স্তরে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ বলেন, ‘রাস মেলা উপলক্ষে জেলায় মিটিং হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন মিটিং করা হয়েছে। গতকাল আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমরা আইনঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে যারা পুন্যার্থী আসবেন তাদের জন্য সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছি। সেখানে কোনো অবস্থাতেই যেন কোনো দুষ্কৃতিকারী অবস্থান করতে না পারে সে ব্যবস্থা করব। সেখানে সাদা পোশাকে অনেক পুলিশ থাকবে।’
শতবছর ধরে সনাতন ধর্মালবম্বীদের আত্মশুদ্ধির রাস পূজা ও পুণ্য স্নান শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে আশা আয়োজকদের। এ রাস মেলায় সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে সার্বজনীন মেলায় পরিণত হওয়ায় বাণিজ্যিক ভাবে গতিশীল হবে উপকূলীয় কলাপাড়া এমনটি প্রত্যাশার ব্যবসায়ীদের।





