ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ জুড়েই ব্যাটিং ব্যর্থতা, ফলাফল টি-টোয়েন্টিতে হোয়াটওয়াশ। আগের ম্যাচে ১৫০ রান তাড়া করতে নেমেও ১৪ রানে হার, তবে পরের ম্যাচেই আবার টার্গেট দিয়ে খেলতে নেমে ধবলধোলাই। বাড়তি সংযোজন বলতে অধিনায়ক লিটন দাস হারের পুরো দায় চাপিয়েছেন শিশিরের উপর।
লিটন কুমার দাস বলেন, ‘আমাদের অনুকূলে অনেক কিছু নেই। প্রথম দুই ম্যাচে আমরা খুব একটা শিশির দেখিনি। আজকে গিয়ে টোটালি ডিউ। আমরা যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখন একটু শুকনা উইকেট ছিল এবং বল গ্রিপ হচ্ছিল ভালো। তবে তারা যখন ব্যাটিংয়ে আসে তখন তাদের ফরেই চলে গেছে সবকিছু। কিছু কিছু জিনিস আসে যেগুলো আপনার কন্ট্রোলে থাকবে না, কিন্তু চেষ্টার আমাদের কমতি ছিল না।’
ক্রিকেটে ভালো-খারাপ সময় আসে-যায়, কিন্তু টাইগার ব্যাটারদের দৃষ্টিকটু ব্যাটিং জোরালো প্রশ্ন তোলে তাদের সামর্থ্য নিয়েই। সমালোচনার সেই কাঠগড়ায় থাকেন কোচরাও।
কিন্তু বাইশ গজে ব্যাটে রান না থাকলেও সংবাদ সম্মলনে কোচ আর সতীর্থ জাকের আলী, শামীমদের পক্ষে ভালোই ব্যাট ধরলেন টাইগার ক্যাপ্টেন, অন্তত চেষ্টার কমতি রাখেননি।
আরও পড়ুন:
লিটন দাস বলেন, ‘যারা এই মুহূর্তে খেলছে টিমে, তারা সবাই প্রুভেন। আপনার এরকম দুই একটা সিরিজ যেতেই পারে, একটা খেলোয়াড়ের ৫-৬টা ম্যাচ খারাপ যেতেই পারে। তার মানে সে খারাপ খেলোয়াড় নয়। যেটা বললাম যে, সে নিজেও জানে, তার কোন জায়গাটাতে উন্নতি করতে হবে। আমার মনে হয় সে সেই জায়গাটাতে ফোকাস দেবে এবং ব্যাটিং কোচদের সঙ্গে কনসাল্ট করে সেখান থেকে কামব্যাক করার চেষ্টা করবে। আর প্রতিনিয়ত খেলোয়াড় পরিবর্তন করলে রেজাল্ট একই থাকবে। যে নতুন খেলোয়াড় আসবে, সে আপনাকে খুব ভালো ফিডব্যাক না দিলে আমরা সেই একই জায়গায় থাকবো।’
প্রেসার মোমেন্টে খেই হারানোর পুরনো চক্র থেকে বের হাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশ্য সেই ব্যাখ্যায় লিটন অস্বস্তিতে থাকলেও একটানা ক্রিকেট খেলার ধকলকে হারের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দৃঢ়ভাবেই।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি ইনজুরিতে থাকায়, আমি ছাড়া বাকিরা অনেক ম্যাচ খেলেছে। আমরা অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি।’
সতীর্থ এবং কোচদের বাঁচাতে লিটনের দৃঢ়তার অভাব নেই তবে লিটনদের এই দৃঢ়তা বাইশ গজে কবে ধারাবাহিক হবে? প্রশ্নটা জানা কিন্তু উত্তর অনিশ্চিত।





