‘শাপলা’ প্রতীক তালিকাভুক্ত না করার উত্তর ইসিকে দিতে হবে: খালেদ সাইফুল্লাহ

খালেদ সাইফুল্লাহ
খালেদ সাইফুল্লাহ | ছবি: এখন টিভি
2

নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০০৮ সংশোধন করে ১১৯টি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন তালিকায় ১০২ নম্বরে যুক্ত করা হয়েছে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র চাওয়া ছিল ‘শাপলা’ প্রতীক।

আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর) বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোন আইন বা বিধির কারণে তারা ‘‘শাপলা’’ প্রতীক তালিকাভুক্ত করতে পারছেন না। সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তারা ‘‘শাপলা কলি’’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কেন ‘‘শাপলা’’ প্রতীকটি তালিকাভুক্ত করা গেল না—এর উত্তর কমিশনকে দিতে হবে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিজের ইচ্ছেমতো নিয়ম বানিয়ে বা বদলে কাজ করতে পারে না। যদি তারা জাতীয় প্রতীক সংরক্ষণের যুক্তিতে ‘‘শাপলা’’ তালিকাভুক্ত না করেন, তবে একই যুক্তি ‘‘ধানের শীষ’’, ‘‘তারকা’’ বা ‘‘পাটপাতা’’র মতো প্রতীকগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আর যদি জাতীয় প্রতীক সংরক্ষণ তাদের দায়িত্ব না হয়, তাহলে ‘‘শাপলা’’ অন্তর্ভুক্ত করতে বাধা কোথায়? নির্বাচন কমিশনের কোনো এক অফিসারের ইচ্ছায় আমাদের প্রতীক নির্ধারণ হবে না—আমাদের প্রতীক নির্ধারিত হবে দলের সদস্যদের ইচ্ছায় এবং আইনের সীমার মধ্যে। আইন সবার জন্য সমান হতে হবে; বেছে বেছে প্রয়োগ করলে তা আর আইন থাকে না, অন্যায়ের হাতিয়ার হয়ে যায়।’

আরও পড়ুন:

এর আগে, একই দিন নির্বাচন কমিশন সংশোধিত প্রতীকের গেজেট প্রকাশ করে, যাতে স্বাক্ষর করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। নতুন তালিকায় ১৬টি প্রতীক বাদ দেয়া হয়েছে এবং ২০টি নতুন প্রতীক যুক্ত করে মোট ১১৯টি প্রতীক রাখা হয়েছে।

বাদ দেয়া প্রতীকগুলো: ফ্রিজ, বেঞ্চ, ফুলের টব, তরমুজ, বাঁশি, টিফিন ক্যারিয়ার, কলা, খাট, চার্জার লাইট, তবলা, বেগুন, বেলুন, লাউ, শঙ্খ, স্যুটকেস ও উটপাখি।

আরও পড়ুন:

যুক্ত করা প্রতীকগুলো: শাপলা কলি, টেবিল ল্যাম্প, টর্চ লাইট, ফুলের ঝুড়ি, পালকি, পানির ট্যাব, পাগড়ি, দোতলা বাস, বৈদ্যুতিক বাল্ব, মোটরসাইকেল, সিঁড়ি, সূর্যমুখী, হ্যান্ডশেক, ড্রেসিং টেবিল, তালা, বেবি ট্যাক্সি, রেল ইঞ্জিন, চিরুনি, ট্রাক্টর ও উট।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮’ সংশোধন করেছে। সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী স্থগিত প্রতীক ছাড়া তালিকাভুক্ত প্রতীকগুলোর মধ্য থেকে প্রাপ্যতা সাপেক্ষে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ পেতে পারবেন।

এনএইচ