মার্কিন শুল্কের চাপে যখন অনেকটা যাঁতাকলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, তখন এর ফায়দা নেয়ার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। এবার তারই প্রতিফলন ঘটলো মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আয়োজিত আসিয়ান সম্মেলনে।
মঙ্গলবার মুক্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্মেলনের সাইডলাইনে এ বিষয়ে চুক্তি করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। চীনের স্টেট কাউন্সিলের তথ্যমতে, থ্রি পয়েন্ট জিরো ভার্সনের এ চুক্তিতে অবকাঠামো, ডিজিটাল এবং বাণিজ্য সুবিধা বাড়াতে কাজ করবে চীন ও আসিয়ানের দেশগুলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেন তিনি। এরপর থেকেই এ অঞ্চলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে মনোযোগী হয়েছে চীন। ২০২৫ সালে ৯ মাসে এরইমধ্যে আসিয়ানের দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ছাড়িয়েছে ৭৮৫ বিলিয়ন ডলার। যার বেশিরভাগই প্রস্তুতকারক পণ্যের।
আরও পড়ুন:
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, ‘গত কয়েকবছর ধরে চীন ও আসিয়ানের দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতায় বাণিজ্য এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন সুযোগ তৈরি করতে চুক্তি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্যের মাধ্যমে তা আরও সম্প্রসারিত হবে।’
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘দৃষ্টিভঙ্গির পুরোপুরি পরিবর্তন সম্ভব নয় এবং কাম্য নয়। তবে চীনের ধারাবাহিক সহযোগিতা ও গঠনমূলক আচরণে আসিয়ানের দেশগুলোর বাণিজ্য প্রসারিত হবে।’
আসিয়ান সম্মেলনের শেষ দিনে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতাদের মধ্যে। ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দু'দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তির পর পরবর্তী করনীয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এদিকে অনেকটা খালি হাতে আসিয়ান সম্মেলন থেকে ফিরে গেলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। আগামী সপ্তাহে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তার।





