শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডের ১০দিন পার হতে চললেও এখনো পুরোদমে গতি ফেরেনি পণ্য খালাস কার্যক্রমে। অগ্নিকাণ্ডের একদিন পরই ১৯অক্টোবর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় বিমানবন্দরের নয় নম্বর গেটে পণ্য খালাস চালু হলেও কাটছে না পণ্য জট। এখনো পর্যন্ত কোনো বিকল্প স্টোরেজ ব্যবস্থা না থাকায় আবহাওয়া পরিবর্তনে তৈরি হতে পারে জটিলতা বলে মনে করছেন অনেকে।
গত ২০ অক্টোবর পণ্য খালাস হয় মাত্র ১১টি এবং সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৩ অক্টোবর খালাস হয় ৫৮৭টি।
সিএন্ডএফ এজেন্টদের দাবি পণ্য সরবরাহে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। ভোগান্তি লাঘবে আরও একটি গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। বিশেষ করে ৮ ও ৯ গেট দিয়ে গাড়ি ও মানুষ প্রবেশ করায় এই গেট দিয়ে পণ্যও পরিবহনের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।
কর্মীরা জানান, আগে যেখানে পণ্য ডেলিভারি দিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট অথবা সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট লাগতো সেখানে এখন সময় লাগছে মিনিমাম ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগছে। পণ্য আনতে সময় লাগছে।
আরও পড়ুন:
গত ২২ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক বিজ্ঞপ্তিতে সমস্ত অংশীদার এয়ারলাইনকে অনুরোধ করা হয়, একটি ইউএলডিতে একাধিক মাস্টার এয়ারওয়ে বিলের অধীনে পণ্য লোড না করতে। বর্তমান সাময়িক পরিস্থিতিতে প্রতি ইউএলডিতে একক কনসাইনমেন্ট লোড করলে পণ্য বাছাই, স্ক্যানিং ও ডেলিভারি প্রক্রিয়া অনেক বেশি কার্যকর হবে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা।
সুইফট ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদ হুসেইন বলেন, ‘একটা ইউএলডিতে একটা মাস্টের এগেইনস্টে যদি একটা হাউজের বিল থাকে সেটা মাত্র বিল হবে। আপনারা দেখছেন এয়ারফেইট ইউনিটের সেই শিপমেন্টগুলো রিলিজ হচ্ছে। কুরিয়ারের আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০ টন এখনো ওপেন এয়ারে শিপমেন্ট পড়ে আছে যা টোটালি বাংলাদেশের সব ফ্যাক্টরি এফেক্টেড।’
পণ্য খালাসের ধীরগতির কথা স্বীকার করে ঢাকা কাস্টমস হাউসের জয়েন্ট কমিশনার বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণেই অন্য গেট দিয়ে খালাস চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের জয়েন্ট কমিশনার মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘চার জায়গায় আমাদের আলাদা সেটআপ ছিলো। সে সব এখন একটা গেট দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে একটা বোটনিক তৈরি হচ্ছে সত্যি কথা। আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি এটাকে কিভাবে কাভার করা যায়। যেমন এখন কাস্টমসের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টার কাজ শুরু হয়েছে। এটা আগেও সীমিত মাত্রায় ছিলো কিন্তু এখন দেখা যায় রাতেও কাজ হচ্ছে। বিমান, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে আর কোনো গেট খুলে দেয়া যায় কি না।’
এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানতে বাংলাদেশ বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।





