স্থানীয় সূত্র জানায়, ধলেশ্বরী নদীর ওই জলমহালটি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী কয়েকজনের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে স্থানীয় জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে নানা বাধার সম্মুখীন হন। কেউ কেউ দাবি করেন—চাঁদা ছাড়া নদীতে নামা যেত না।
সকালে হুমাইপুর ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের জেলেরা নৌকা নিয়ে নদীতে জড়ো হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা একসঙ্গে নদীতে নামেন এবং ‘উন্মুক্ত... উন্মুক্ত... উন্মুক্ত...’ স্লোগানে মুখর হয়ে জলমহাল উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। এতে নদীপাড়ে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।
জেলে নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমাদের নদী কিছু লোক নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। আজ আমরা নিজের নদী ফেরত পেয়েছি এটাই আমাদের বড় আনন্দ।’
জেলে উর্মিত দাস বলেন, ‘জলমহাল জেলেদের জীবিকার উৎস। কেউ দলের নামে এটা দখল করে রাখবে, সেটা অন্যায়। আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই অন্যায়ের জবাব দিয়েছি।’
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জলমহালটি নিয়ে হাইকোর্টে স্থিতাবস্থা (স্টে অর্ডার) রয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করবো হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে চলতে।’





