ক্যারিবিয়ান সাগরে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ভেনেজুয়েলার জাহাজে গত কয়েকদিনে একাধিক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিহত হয়েছে অন্তত ২৭ জন। এর জের ধরেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওয়াশিংটন ও কারাকাসের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভেনেজুয়েলান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মধ্যেই চলছে নীরব যুদ্ধ।
গেল বুধবার (১৫ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’কে গোপনে ভেনেজুয়েলায় অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটিতে যেকোনো সময় স্থল অভিযান শুরু করতে পারে ওয়াশিংটন।
এর সপ্তাহ না পেরুতে আবারও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার সাবমেরিনে হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে এ কথা জানান ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:
মার্কিন হামলায় নিহত হয়েছে জাহাজে থাকা ২ নাবিক। আর বেঁচে যাওয়া দুইজনকে নিজ দেশ- কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে ফেরত পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। পোস্টে, এতো বিশাল সাবমেরিনটি ধ্বংস করার বিষয়টি নিজেদের জন্য বিরাট সম্মানের বিষয় বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। জানান, সাবমেরিনে বিপুল পরিমাণ মাদকের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ।
ভেনেজুয়েলার এই সাবমেরিনটি ধ্বংস না হলে এতে থাকা মাদকে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ হাজার নাগরিকের মৃত্যু হতো বলে জানান ট্রাম্প। আর মার্কিন সরকার তা কখনও বরদাস্ত করবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের হুমকির জেরে এরইমধ্যে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে তৎপর হয়েছে ভেনেজুয়েলান সরকার। চালানো হচ্ছে সামরিক মহড়াও।





