যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের বরফ গলাতে শুরু করেছে রাশিয়া। ইতোমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ইস্যুতে হাঙ্গেরিতে বৈঠক বসতে সম্মত হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। সম্পর্কের টানাপোড়েন মেটাতে শুধু বৈঠক নয়, দুই পরাশক্তির মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মস্কো।
এরই অংশ হিসেবে সমুদ্রের নিচ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে সংযুক্ত করতে ট্রাম্প-টানেল নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে ক্রেমলিনের বিনিয়োগ বিষয়ক দূত ও রুশ ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান নির্বাহী কিরিল দিমিত্রিয়েভ। শুক্রবার, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের সময় এ বিষয়ে কথা বলেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়া ও আলাস্কার মধ্যে টানেল নির্মাণের প্রস্তাব আমি পেয়েছি। এটি আকর্ষণীয়। এর মাধ্যমে আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খনিজ পাব।’
এসময় ট্রাম্প প্রস্তাবটি সম্পর্কে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মন্তব্য জানতে চান। জবাবে জেলেনস্কি জানান, তিনি এতে খুশি নন।
আরও পড়ুন:
সাইবেরিয়া থেকে আলাস্কা পর্যন্ত ১১২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল ও পণ্যবাহী সংযোগ পথ দুই দেশের মধ্যে যৌথ সম্পদ অনুসন্ধানের একটি দারুণ ক্ষেত্র তৈরি করবে বলে মনে করে ক্রেমলিন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের বোরিং কোম্পানির সহায়তা চেয়েছেন দিমিত্রিয়েভ। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইলন মাস্ককে ট্যাগ করে একটি পোস্টও দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রকে যৌথভাবে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আর্কটিক অঞ্চলের হাইড্রোকার্বন প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ক্রেমলিনের বিনিয়োগ দূত । এর মাধ্যমে অঞ্চলটিতে বাড়বে তেল খননের মাত্রা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে যৌথভাবে জ্বালানি প্রকল্প পরিচালনায় মস্কো আগ্রহী বলে মনে করেন দিমিত্রিয়েভ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মেরু অঞ্চলে বরফ কমায় রাশিয়া ও আর্কটিক অঞ্চলের দেশগুলো খনি কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা চলছে।
মস্কো ও ওয়াশিংটনকে সংযোগ করার পরিকল্পনাটি নতুন নয়। দিমিত্রিয়েভ জানান, স্নায়ুযুদ্ধের সময় কেনেডি-ক্রুশচেভ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয় বেরিং প্রণালীর ওপর। ৮২ কিলোমিটার প্রশস্ত বেরিং প্রণালী, যার সবচেয়ে সংকীর্ণতম স্থানটি রাশিয়ার বিশাল এবং জনবহুল চুকোটকা অঞ্চলকে আলাস্কা থেকে আলাদা করে রেখেছে।





