তেহরানের রাজপথে এক টুকরো ফিলিস্তিন। ইসরাইল আর যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগানে মুখর ইরানের রাজধানী। পোড়ানো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ইরানের রাজধানী তেহরানে রাজপথে নামেন লাখ লাখ মানুষ। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নেয়ার পর আপাতত হামলা বন্ধ হয়েছে ইসরাইলে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মদতে গেল দুই বছর ধরে গাজায় অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল। প্রাণ গেছে ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির। তাই যুদ্ধ বন্ধের আনন্দের চেয়ে গাজাবাসীর ক্ষত পোড়াচ্ছে ইরানীদের।
ইরানিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এ যুদ্ধবিরতি ইঙ্গিত করে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরাইল পরাজিত হয়েছে। তারা দুই বছর ধরে চেষ্টা করেও হামাসকে দমাতে পারেনি।’
অন্য একজন বলেন, ‘দুই বছর ধরে গাজাবাসী ইসরাইলি আগ্রাসন সহ্য করেছে। তবুও তারা হার স্বীকার করেনি।’
ইরানের অক্ষশক্তি হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অভিযানে শুরু থেকেই সংগঠনটিকে সমর্থন দিয়েছে ইয়েমেনের হুথিরা। বরাবরের মতো গেল শুক্রবারও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে ইয়েমেনের রাজধানী সানায়।
আরও পড়ুন:
হুথিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘অস্ত্রবিরতি সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে হামাসের বিজয় হয়েছে। ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইদের যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তারা যে বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে- এর নিন্দা জানাই।’
অন্য একজন বলেন, ‘গাজাবাসী আজ যে বিজয় উদযাপন করছে তা বিনামূল্যে পাওয়া কোনো উপহার নয়। অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময় এটি অর্জন করা হয়েছে।’
সাবিন স্কয়ারের এই সমাবেশে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের অধিকাংশই চান গাজায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক। পাশাপাশি ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ইসরাইল গাজায় যে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তার অবসান চান এই বিক্ষোভকারীরা।
গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে এদিন রাজপথে নামে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ জর্ডানের ফিলিস্তিনপন্থীরা। তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইহুদি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা এখনও শক্ত অবস্থানে আছি। আজ ফিলিস্তিনে গণহত্যার অবসান ঘটেছে। যদিও এই গণহত্যার ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা হয়নি।’
এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের পর রাজপথে নেমেছেন ক্যারিবীয় দেশ কিউবার ফিলিস্তিনপন্থী জনগণ। রাজধানী হাভানায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছন তারা। এছাড়া, গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে শহরের ম্যালকন সমুদ্রতীরে আয়োজিত সমাবেশে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-ক্যানেল এবং প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল মারেরো।




