এ ঘটনায় মামলার পর আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল (শুক্রবার, ১০ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন— ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের হলহরি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আল-আমীন (২৭), নান্দাইলের শেরপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মেহেদি হাসান (২৭) ও তার স্ত্রী আমোদাবাদ গ্রামের মো. সেলিমের মেয়ে মারিয়া আক্তার মনিকা (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নান্দাইলের পুরহরি গ্রামের মো. লাল মিয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির (৪৫) অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে চারজন যাত্রী শেরপুর ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে ২০০ টাকা ভাড়ায় অটোরিকশা নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
ইজিবাইক চালক হুমায়ুন কবির জানান, চারজনের হাতে পলিথিনে বেশ কয়েকটি মিষ্টির প্যাকেট ছিল। পথে যাত্রীরা বলছিল রাতেই এ অটোরিকশা দিয়েই ফের বাড়ি ফিরবে। এজন্য তাকে (চালক) বেশি ভাড়া দিবে বলেও জানায়।
চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ একজন চালকের গলায় প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগায়। আরেকজন চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। এসময় আটোচালক বল প্রয়োগ করে একজনকে অটোরিকশা থেকে ফেলে দিয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে তিনজনকে আটক করে এবং অপর একজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।’





