প্রতিনিয়ত মৃত্য ও ক্ষুধার সঙ্গে লড়তে থাকা গাজাবাসীর মুক্তির দাবিতে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন দেশের মানুষ। গাজা যুদ্ধের দুই বছরে মঙ্গলবারও যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটির মানুষের মুক্তি ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আর্জেন্টিনা থেকে নিউ ইয়র্ক, মেক্সিকো থেকে কলোম্বিয়া সব জায়গায় ধ্বনিত একই বাক্য ফ্রি প্যালেস্টাইন।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের সড়কে নেমে আসেন শত শত মানুষ। মানুষকে না খাইয়ে রাখা একটি জঘন্য অপরাধ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করে তারা।
ফিলিস্তিদের পক্ষে মঙ্গলবার আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে রাস্তায় নামে শত শত মানুষ। দেশটির ন্যাশনাল কংগ্রেসের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করে তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়াদের মধ্যে একজন বলেন, ‘গণহত্যার দুই বছর হয়ে গেছে। আমরা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটি বন্ধের অনুরোধ করছি। বিশ্ববাসী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আছে এবং আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।’
আরও পড়ুন:
এদিকে ব্রাজিলে ফিলিস্তিনপন্থীদের আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে দেশটিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে জড়ো হন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। বিক্ষোভকারীদের ওপর পিপার স্প্রে ছুড়ে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয় তিনজন।
ব্রাজিলে বিক্ষোভে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এটাই প্রমাণ করে প্রতিদিন গাজায় কী ঘটে। সেখানে প্রতিনিয়ত শিশু ও নারীরা হত্যার শিকার হচ্ছে।’
ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভে পুলিশি হামলার ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতেও। দেশটির ফ্রাঙ্কফুট ও বার্লিনে গাজা যুদ্ধের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনপন্থীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
কলম্বিয়াতেও যুদ্ধবিরতির দাবিতে রাস্তায় নামে কয়েকশ মানুষ। তারা দেশটিতে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে জড়ো হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পুড়িয়ে এবং ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর ছবিতে রক্ত মেখে গাজাবাসীর মুক্তির পক্ষে স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে অংশ নেয়াদের মধ্যে একজন বলেন, ‘অনেক হয়েছে। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে বলছি গণহত্যা বন্ধ করুন।’
শিগগিরই গাজা যুদ্ধ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের কাছে জরুরি সহায়তা পৌঁছে দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান এসব আন্দোলনকারীরা।





