বর্ষায় তেমন বৃষ্টির দেখা না মিললেও মৌসুমের শেষ প্রান্তে এসে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ধসে বিপর্যস্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলা। গেলো শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ডুবে গেছে প্রধান ও জাতীয় সড়ক, ভেঙে পড়েছে সেতু। কয়েক হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন দার্জিলিং ও ডুয়ার্সের হোটেল ও পর্যটনকেন্দ্রে।
দার্জিলিং ও ডুয়ার্সসহ জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের পানিবন্দি অন্তত ৪৪ হাজার বাসিন্দা। গতকাল (সোমবার, ৬ অক্টোবর) ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি ওই পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘বাড়িঘর যাদের ভেঙে গেছে আমরা সার্ভে করে দেখবো। সব সড়ক, ব্রিজ নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক করা হবে। সবকিছু তো একসঙ্গে ঠিক করা সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন:
সকাল থেকে বৃষ্টি থামার পূর্বাভাস দেয়া হলেও, পাহাড় ধসে রাস্তা অবরুদ্ধ থাকায় উদ্ধার অভিযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়াও তোর্সা ও জলঢাকা নদীর পানিতে ভেসে গেছে জলদাপাড়া ও গরুমারা বনাঞ্চল। বিপন্ন বহু বন্য প্রাণি আশ্রয় নিয়েছে লোকালয়ে।
এদিকে, গত রোববার থেকে নেপালে বৃষ্টি বন্ধ হলেও কমেনি জনদুর্ভোগ। এখনও অনেক এলাকায় সচল হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি।
ইকোনোমিক টাইমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গেলো সপ্তাহের অতিবৃষ্টিতে নেপালে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ জেলার অধিকাংশই সমভূমি অঞ্চলে অবস্থিত। উঁচু এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি নিম্নাঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হওয়া ছাড়াও উপযুক্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছরই এসব এলাকায় দেখা দেয় বন্যা।
নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গেলো এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে এখনও পর্যন্ত দেশটিতে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ গেছে অন্তত তিনশো মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক জেলা। এরমধ্যে পানিতে ডুবে, ভূ্মিধসের কারণে, বজ্রপাতে, সাপের কামড় ও অন্যান্য বন্যপ্রাণির আক্রমণে প্রাণ গেছে বহু মানুষের।





