২০২১ সালে ক্ষমতা নেয়ার পর তালেবানের অনেক কর্মকাণ্ড আশ্চর্য করেছে আফগানবাসীকে। এবার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়ে ফের সমালোচনার মুখে পড়েছে দলটি।
গত কয়েক দিন ধরেই পুরো আফগানিস্তানে ধাপে ধাপে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেছে তালেবান সরকার। শুরুতে পর্নোগ্রাফিসহ অনৈতিক কার্যক্রম থেকে আফগানিস্তানের নাগরিকদের হেফাজত রাখতে ফাইবার-অপটিক ইন্টারনেট বন্ধ করে তারা।
আরও পড়ুন:
এরপর তাদের হস্তক্ষেপে মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও পুরোপুরি অন্ধকারের মুখে। এতে করে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।
ডিজিটাল এই যুগে ইন্টারনেট সেবা বন্ধে চরম ভোগান্তিতে আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিক। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ী, সরকারি প্রতিষ্ঠান, উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে সকলেই নানান ধরনের জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
নাগরিকদের একজন বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে কাবুলে ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে সরকারি সেক্টরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায় অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। পুনরায় ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরেকজন বলেন, ‘সোমবার বিকেল থেকে একেবারেই সংযোগ পাচ্ছি না। আমাদের অনলাইন ক্লাস আছে। ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
তালেবান সরকারের এ পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে সেখানকার নারী উদ্যোক্তারা। যারা ঘরের বাইরে কাজের সুযোগ না পেয়ে ঘরে বসে অন্তত অনলাইন ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতো। এবার তাদের সেই পথটা বন্ধ হওয়ার পথে।
ইন্টারনেট না থাকায় কাবুলসহ বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে আফগানিস্তানে। এতে চরম ভোগান্তিতে লাখ লাখ যাত্রীরা।
তবে ইন্টারনেট সেবা বন্ধের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি তালেবান সরকার। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সে বিষয়েও কিছু জানায়নি তারা।





