আইনগত জটিলতা এড়িয়ে, বন্দরে পড়ে থাকা কনটেইনার জট কমাতে গত ১৪ মে নতুন আদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। আদেশ অনুযায়ী ভিত্তি মূল্যের ৬০ শতাংশ দরে বিক্রির বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে, প্রথম নিলামেই সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে পণ্য বিক্রির সুযোগ রাখা হয়। ২০২৪ সালের আগ পর্যন্ত আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এ আদেশ।
এতে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয় বিডারদের মাঝে। গত আগস্টে প্রথম বিশেষ নিলামে ৩৪০ কনটেইনার পণ্যের বিপরীতে অংশ নেন দেড় হাজারের বেশি বিডার। যা সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ। ভ্যাট ট্যাক্সসহ একটি নিলাম থেকে ৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এবার দ্বিতীয় দফায় নিলামে তোলা হচ্ছে আরও ২৭৩ কনটেইনার।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার রাসেল আহমেদ বলেন, ‘এনবিআর নিলামটাকে টপ মোস্ট প্রায়োরিটি দিচ্ছে যেন বন্দরের কনটেইনার জট কমে যেতে পারে। আমরা টার্গেট রেখেছি, প্রতিমাসেই প্রায় ৫০০ এর বেশি কনটেইনার আমরা নিলামে তুলবো। সে লক্ষ্যেই আমাদের চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কাজ করে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
বিশেষ নিলামে জটিলতা কম থাকায় খুশি বিডাররা। তবে বন্দর থেকে পণ্য খালাসে হয়রানি আর কনটেইনার মুভমেন্টে বাড়তি চার্জ নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ফেরদৌস আলম বলেন, ‘আমি যেখানে দেখেছি সেখান থেকে পণ্য ডেলিভারি নিলে আমার কবার চার্জ দিতে হয়। কিন্তু অনুমোদনের পর দেখা যায় ওই কনটেইনার অন্য জায়গায়। তখন পোর্ট আমাদের বাধ্য করে তিনবার চার্জ আদায় করে নেয়।’
প্রায় চার হাজার কনটেইনার পণ্য বিশেষ নিলামে বিক্রি করা হবে। বন্দরের জায়গা খালি করতে প্রতি মাসেই প্রায় পাঁচ শতাধিক কনটেইনার পণ্য নিলামে বিক্রির টার্গেট চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের। এক্ষেত্রে নিলামে বিক্রি করা পণ্য দ্রুত খালাসে ১৫ দিন সময় বেধে দেয়া হয়েছে বিডারদের।





